নিজস্ব প্রতিনিধি : তিনি যে বিষয়ে বলার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা আদতে সেই মিটিং-এর এজেন্ডা নয়। কিন্তু আচমকাই নিজের বক্তব্য জাহির করার জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। কথা শেষ করতে পারলেন না। মাঝপথেই ধমক খেয়ে বসে পড়তে হল তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ। তিনি কিনা শেষ পর্যন্ত ভরা আলোচনা সভায় ভর্তসনার শিকার হলেন। পরিস্থিতি এমন তৈরি হল যে শাস্ত্রী কিছু বলতেও পারলেন না। পুরো ধমকটাই তাঁকে গিলে নিতে হল। তবে বিসিসিআইয়ের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-এর সেই ধমক তাঁর হজম হল কিনা বলা মুশকিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ফের হাফিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন, এবার ম্যাচের মাঝে ইশারা টেলরের


হায়দরাবাদে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল বিসিসিআই। টিম ম্যানেজমেন্ট-এর সদস্যদের সঙ্গে বসেছিলেন সিওএ-র বিনোদ রাই, ডায়ানা এডুলজি, বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরিরা। ছিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানে ও নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে দলের প্রস্তুতি, অবস্থা নিয়ে টিমের সদস্যদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন সিওএ-র সদস্যরা। সে জন্যই এই মিটিং। সেখানে রবি শাস্ত্রী শুরুতেই উঠে দাঁড়িয়ে সিওএ সদস্যদের বলতে যান, ভারতীয় মিডিয়ার কাছে দেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের মূল্য নেই। এ দেশের মিডিয়া নিজেদের ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা করে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রবি শাস্ত্রীর এক মন্তব্য নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। শাস্ত্রী বলেছিলেন, বিরাটদের এই দলটা গত ১৫ বছরের সফররত সেরা ভারতীয় দল। কোচের এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সুনীল গাওয়াস্করের মতো প্রাক্তনরা। এদিনও সেই প্রসঙ্গেই বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন রবি। বোর্ডের এক কর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলছিলেন, শাস্ত্রীকে মাঝ পথেই থামিয়ে দেন সিওএ-র এক সিনিয়র সদস্য। কোচকে তিনিই মনে করিয়ে দেন, এটা তাঁদের আলোচনার এজেন্ডা নয়। সঙ্গে সঙ্গে ধমক দিয়ে এটাও বলেন, ভারতের কোন দলটা সেরা সেটার বিচার রবি শাস্ত্রী করবেন না। করবেন ভারতীয় ক্রিকেট-ভক্তরা।


আরও পড়ুন-  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাই ভারতীয় দলের একমাত্র লক্ষ্য: স্মৃতি মন্ধনা


আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে সিওএ-র তরফে ক্রিকেটারদের কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। বিনোদ রাইরা স্পষ্ট ভাষায় বিরাটদের বুঝিয়ে দেন, দলের জন্য বোর্ড সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বড় অঙ্কের সেন্ট্রাল কন্ট্র্যাক্ট থেকে শুরু করে ট্রেনিংয়ের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। বিরাটরা যখন যেটা চেয়েছেন, বোর্ডের তরফে তাই দেওয়া হয়েছে। এর পর বিদেশের মাঠে পারফরম্যান্সে কোনও খামতি থাকলে তাঁর কৈফিয়ত দিতে হবে ক্রিকেটারদের। অজিঙ্ক রাহানে, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন সিওএ-র সদস্যরা। ইংল্যান্ডের কাছে ১-৩ সিরিজ হারের জন্য গোটা দলকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।