জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার (Qatar) ফতোয়ার নাগপাশে জড়ানো। নিষেধের বেড়াজালে বাঁধা এখানকার সংস্কৃতি থেকে সমপ্রেম (LGBTQ)। পোশাক থেকে শুরু করে মদ্যপান! স্বাধীনতা শব্দটা এখানে বেমানান। সমপ্রেম এখানে আইনিসিদ্ধ নয়। তবে এবার কাতারের এক মন্ত্রীসভার সদস্য আল কাবি (Al-Kaabi) শোনালেন অন্য কথা। তিনি রামধনু সম্প্রদায়কে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁর দেশে। তবে বলে দিচ্ছেন যে, তাঁরা বদলে যাবে, এমনটা যেন ভাবা না হয়। কাবি বলছেন, 'এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষ কাতারে আসতেই পারেন। কোনও সমস্যা নেই। তবে তাঁরা যদি ভাবেন যে, আমি বদলে যাব সেটা সম্ভব নয়। আমি এলজিবিটিকিউ-তে বিশ্বাস করি, আমার পরিবারেরও এলজিবিটিকিউ হওয়া উচিত। আমার দেশে এলজিবিটিকিউ মেনে নেব। পশ্চিমী দেশের সমর্থনে ইসালিমক নিয়মকানুন বদলে ফেলব। এসব কিন্তু একেবারেই হবে না।' এর আগে কাতারের প্রাক্তন ফুটবলার ও বর্তমানে টুর্নামেন্টের অ্যাম্বাসেডর খালিদ সলমন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি চান না যে, বিশ্বকাপে তাঁর শিশুরা সমপ্রেমী মানুষদের দেখুক। তাঁর মতে সমপ্রেম মাথা নষ্ট করে দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


বিশ্বকাপের আগে থেকে বেশ কয়েকটি সমপ্রেমী অধিকার রক্ষা সংস্থা সমপ্রেমের সমর্থন করে কাতারের প্রতিবাদ করছে। সেই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিল বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। তালিকায় ছিল ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং ওয়েলস। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তারা একটি বিশেষ আর্মব্যান্ড তৈরি করেছিল। যার নাম ‘ওয়ান লাভ’। প্রতিবাদকারী দেশগুলোর অধিনায়করা ঘোষণা করেছিলেন, বিশ্বকাপের ম্যাচে তাঁদের দলের ফুটবলাররা এই আর্মব্যান্ড পরে নামবেন।  সরাসরি সমপ্রেম-বিরোধী আইনের বিরোধিতা করার জন্য নয়, সমপ্রেমীদের ভালোবাস ও আবেগকে সমর্থন করার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: Miss Croatia Ivana Knoll: সেদেশে নাকি পোশাক ফতোয়া! কাতারে লাস্যের টর্নেডো তুলছেন এই ক্লিভেজ-কন্যা


আরও পড়ুন: Watch | Mario Ferri: রোনাল্ডোদের ম্যাচে মাঠে ঢুকে জানিয়েছেন প্রতিবাদ, এই মারিও খেলেছেন কলকাতার ক্লাবে!


ফিফা এই ভাবনা কার্যকর হতে দেয়নি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যে দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে সেই দেশের আইন, সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যে ফিফা ঘোষণা করে দিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী কোনও অধিনায়ক এবং সেই দলের ফুটবলাররা এই বিশেষ আর্মব্যান্ড পরতে পারবেন না। এর বদলে, ঐক্য ও সমানাধিকারের বার্তা দিতে বিশেষ আর্মব্যান্ড নিয়ে এসেছে ফিফা। প্রতি রাউন্ডে সেই আর্মব্যান্ডের ‘স্লোগান’ বদলে যাবে। কিন্তু তার বাইরে কিছু পরা যাবে না। জার্মান ফুটবলাররা খেলা শুরুর আগে মুখে হাত দিয়েই নীরব প্রতিবাদ করেছিলেন।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)