নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু জেতা নয়, অ্যানফিল্ডে মিরাকেল কিছু করতে হতো লিভারপুলকে। তাও আবার মোহামেদ সালাহ আর রবের্তো ফিরমিনোকে ছাড়াই। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নু ক্যাম্পে ৩-০ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। মঙ্গলবার ফিরতি লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। অ্যানফিল্ডে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নিল য়ুর্গেন ক্লপের দল। লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের থামিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেল লিভারপুল।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কার্যত অসাধ্য সাধন করল লিভারপুল। নিজেদের জাল অক্ষত রেখে প্রতিপক্ষকে চার গোল দিতে হবে-এই সমীকরণকে সামনে রেখে খেলতে নামা লিভারপুল ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সা রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। ম্যাচের সাত মিনিটে ছন্নছাড়া বার্সেলোনার জালে বল জড়ালেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার ওরিগি। গোল হজম করে একটু গুছিয়ে খেলতে শুরু করে বার্সেলোনা। কিন্তু লিভারপুল রক্ষণ সব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে।



প্রথমার্ধে অ্যান্ড্রু রবার্টসন পায়ে চোট পেলেও খেলা চালিয়ে যান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর পরিবর্তেভেইনালডামকে নামান লিভারপুল কোচ য়ুর্গেন ক্লপ। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই সুপার সাব হয়ে গেলেন ডাচ তারকা। ৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভেইনালডাম। দু মিনিট পরেই জারদান শাকিরির ক্রসে লাফিয়ে হেডে স্কোরলাইন ৩-০ করেন সেই ২৮ বছর বয়সী ভেইনালডাম। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন তখন ৩-৩। কোণঠাসা হয়ে পড়ে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে জয়ের পরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কা তখন বার্সা শিবিরে। আর ঠিক তখনই ৭৯মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন ওরিগি।


কোনও ভাবেই আর গোল করতে পারেনি বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষ লিভারপুলকে কোনও পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি মেসিরা। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই উৎসবে মেতে ওঠে অ্যানফিল্ড। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথমবার শেষ চারের প্রথম লেগে তিন গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়ল গতবারের রানার্স লিভারপুল।


আরও পড়ুন- IPL 2019,Qualifier 1, MIvCSK: ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে ফাইনালে রোহিতের মুম্বই