নিজস্ব প্রতিবেদন- এমনিতেই লকডাউনে দিল্লির মানুষ ঘরবন্দি। কেজরিওয়ালের সরকার ক্রমাগত ঘোষণা করে চলেছে খুব প্রয়োজন ছাড়া যেন দিল্লির মানুষ বাড়ি থেকে না বেরোন। আর এবার ঘরবন্দি মানুষকেও জানলা-দরজা বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে। পঙ্গপালের উৎপাতে দিল্লির মানুষের জেরবার অবস্থা। পাকিস্তান থেকে আসা পঙ্গপালের দল রাজস্থানের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি উজাড় করে এবার রাজধানীতে হানা দিয়েছে। পঙ্গপালের উৎপাতে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাবের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার দিল্লি-এনসিআর এলাকাতেও পঙ্গপালের উৎপাতে অতিষ্ঠ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাঠে বহু বোলারের ধোলাই করেছেন তিনি। তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-এর সামনে হাঁটু গেড়ে বসেছেন বহু তাবর বোলার। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন বীরেন্দ্র সেহবাগ সবসময় আক্রমনাত্মক হয়েই খেলতেন। এবার সেই বীরু পঙ্গপালের হানায় কাত হয়েছেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার থাকেন দিল্লি-এনসিআর এলাকায়। তাঁর এলাকাতেও লাখ লাখ পঙ্গপাল হানা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গুরুগ্রামের আকাশে পঙ্গপালের দল উড়তে দেখা গিয়েছে। গুরুগ্রামের বহু এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এমনকী সাইবার হাব এলাকাতেও প্রচুর পঙ্গপালের দেখা মিলেছে। একই অবস্থা দিল্লির ছত্রপুর এলাকাতেও। সেখানে মানুষকে দিনরাত জানলা দরজা বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে। ফাঁকফোকর পেলেই ঘরে ঢুকে পড়ছে কয়েকশো পঙ্গপাল।বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বহু জায়গায় গাছের ওপর প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে।


আরও পড়ুন- ক্রিকেটেও কি আছে Nepotism? তেন্ডুলকার, গাওয়াস্কারের উদাহরণ টানলেন আকাশ চোপড়া



দিল্লি বিমান বন্দরের কাছাকাছি গুরুগ্রাম-দোয়ারকা এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের দেখা মিলেছে। দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল-এর তরফে সতর্ক করা হয়েছে পাইলটদের। টেক-অফ, ল্যান্ডিংয়ের সময় পাইলটদের প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে এগারোটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কৃষকদের বলা হয়েছে কীটনাশক স্প্রে প্রস্তুত রাখতে। রাতে পঙ্গপাল উড়তে পারে না। তাই ওই সময় কীটনাশক স্প্রে করে পঙ্গপালের দলকে নিকেশ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।