Mamata Banerjee | Sourav Ganguly | BCCI President: `সৌরভ বিজেপি-র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার`
ফের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাট ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সদ্য প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি (BCCI President) পদ খোয়ানো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) পাশেই আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফর থেকে কলকাতায় এসেছেন মমতা। সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য এসেছিলেন মমতা। এখানে এসেই ফের 'দাদা'র হয়ে ব্যাট ধরলেন 'দিদি'। মমতা বিজেপি-কে ( BJP) নিশানা করে বলে দিলেন যে, সৌরভ বিজেপি-র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার!
এদিন মমতা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলে, জানবাজারের পুজোর উদ্বোধনে যাওয়ার আগে মমতা বলেন 'আজ কুড়ি তারিখ। আইসিসি-তে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সল্টলেকে এসে আমার মনে পড়ল, সৌরভকে কীভাবে বঞ্চনা করা হয়েছে। আমি বিজেপি সরকারের অনেককেই অনুরোধ করেছিলাম ওর ব্যাপারে। আমি প্রকাশ্যেও অনুরোধ করেছি। ও ভেরি মাচ এনটাইটেলড ছিল। ও তিনবার ডিরেক্টরও ছিল। ওকে পাঠালে দেশের গৌরব বাড়ত। জগমোহন ডালমিয়াও তো হয়েছিল। শরদ পাওয়ারও হয়েছিল। তাহলে আজ কোন অজ্ঞাত কারণে সৌরভের মতো ছেলেকে টোটাল ডিপ্রাইভড করা হল? পজিশনটা রেখে দেওয়া হয়েছে অন্য কারোর জন্য রিজার্ভ করে। নিজস্ব স্বার্থপরতার কারণে এমনটা হয়েছে। দেশের প্রকৃত ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের বঞ্চিত করা হল। আজ সচিন তেন্ডুলকর বা মহম্মদ আজহারউদ্দিন এই জায়গায় থাকলেও, আমি সমর্থন করতাম। আমরা ক্রিকেটকে সবসময় ইন্ডিয়া হিসাবে দেখেছি। সেখানে সৌরভ সারা পৃথিবীতে বারাবার ঘুরে এসেছে, খেলে এসেছে। সৌরভ ভদ্র ছেলে বলে কিছু বলেনি। মুখ বুজে রয়েছে। নিশ্চয়ই ওর ব্যথা হয়েছে। সেই ব্যথা কাউকে বুঝতে দেয়নি। আমরা বিষয়টি কিন্তু সহজ ভাবে নিচ্ছি না। আমরা শকড! ইটস আ শেমলেস পলিটিকাল ভেন্ডেটা, টু গিভ প্রায়োরিটি, টু আ পার্টিকুলার পার্সন।'
খেলায় রাজনীতির প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'আমি নিজে ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম। আমরাই বলেছিলাম যে, খেলায় রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। অনেক সময় রাজনৈতিক লোক ছাড়াও পাওয়া যায় না। কিন্তু একজনকে করতে হবে বলে আরেকজনকে ডিপ্রাইভড করার কী দরকার! তার এখনও অনেকদিন বাঁচার আছে। আমি খেলা অত ভালো বুঝি না। তবে খেলতে দিলে, খেলে দেব। আমি এক্সপার্ট নই। শুধু বলতে পারি, যদি কারোর যোগ্যতা থাকে, সে আসুক। ওই তো ওদের কীসব ঠাকুর, টাকুর আছে, অনুরাগ ঠাকুর! তার ভাইকে দিয়েছে। সৌরভকে দেয়নি। কী আইপিএলের চেয়ারম্যান না কী একটা করে দিয়েছে। তারপর বিসিসিআই কর্ণাটকের রজার বিনিকে সভাপতি করে দিয়েছে। তিন বছর তো সৌরভেরও মেয়াদ ছিল, জয় শাহরও মেয়াদ ছিল, সৌরভ এনটাইটেলড হওয়া সত্ত্বেও কেন ডিপ্রাইভড হল! এই ঘটনা শুধু দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের চমকে দেয়নি, বিশ্বের কাছে লজ্জার বিষয়। আমরাও দেখব কে কতদূর যায়!'
গত সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে সৌরভের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেছিলেন, 'আমি সারা পৃথিবীর ক্রিকেটপ্রেমীদের তরফ থেকে বলব, সৌরভ আমাদের গৌরব। সৌরভ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে মাঠেও খেলেছে, প্রশাসনও চালিয়েছে। ও বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সৌরভের জন্য ছিল, অমিত শাহের ছেলের জন্যও ছিল। সৌরভ নেই, কিন্তু অমিতবাবুর ছেলে থেকে গেলেন। সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশ্যে?' মমতা কিন্তু বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে তিনি আছেন বাংলার আইকনের পাশেই। কোনও অন্যায় সহ্য করবেন না দেশের 'অগ্নিকন্যা'!