নিজস্ব প্রতিনিধি : বঞ্চনারও একটা মাত্রা থাকা উচিত। সেই মাত্রাটা ঠিক কোথায়? এটুকুই এখন জানতে চাইছেন তিনি। কোন মাপদণ্ডে মাপা হচ্ছে ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে? সেই অদৃশ্য মাপদণ্ডের বাহকটাই বা কে! এটাও একটা বড় প্রশ্ন মনোজের কাছে। ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন। কাঁধে দায়িত্ব নেওয়া কাকে বলে সেটাও বোঝাচ্ছেন। কোনও কিছুতেই সেই অদৃশ্য মাপদণ্ডের পারদ চড়ছে না। ২০১৭ আইপিএলের পর সেই মাপদণ্ডেরর পারদ থমকে রয়েছে। এবার কিন্তু বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অনেকেই মনোজের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, শুধুমাত্র বাংলার ক্রিকেটার বলেই কি মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে এই চেনা ও চিরাচরিত বঞ্চনা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  সিরিজের বাকি টেস্ট জিততে না পারলে শাস্ত্রী-কোহলি জুটির ভূমিকা মূল্যায়ন হোক, দাবি সানির


রাগ, দুঃখ, হতাশা, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। সব জমা হয়েছে মনোজের মনে মনে। কখনও কখনও নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি। উগরে দিয়েছেন প্রতিবাদের ভাষা। লাভ হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট তিনি কী অবদান রেখেছেন, তারও প্রমাণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু উল্টোদিকের মানুষগুলো ইচ্ছাকৃত অন্ধত্বের ভান করছেন। আইপিএল ২০১৯ এর নিলাম-পর্বের পর এবারও অবিক্রিত থেকে গেলেন বাংলার রনজি দলের অধিনায়ক। ধারাবাহিক পারফরম্য়ান্স করার পরও। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তিনি সেই অন্ধকারেই। এমনটা কেন হচ্ছে তাঁর সঙ্গে! মনোজ বুঝতেই পারছেন না। তাই শেষমেশ প্রকাশ্যে প্রশ্ন করে বসলেন, বুঝতে পারছি না, আমার ভুলটা কোন জায়গায়! 



টুইটারকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাইলেন মনোজ। নিজের প্রোফাইলে লিখলেন, ''দেশের হয়ে সেঞ্চুরি করে ম্যান অফ দ্য ম্য়াচ হয়েছিলাম। তার পর টানা ১৪টা ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে হল। ২০১৭ আইপিএলে এতগুলো ট্রফি জিতেছিলাম আমি। ভুলটা ঠিক কোন জায়গায়? মনোজের এমন মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মনোজের বঞ্চনার শিকার হওয়ার পিছনে যে কোনও অবাঞ্চিত ও অজ্ঞাত কারণ কাজ করছে, সবাই সেটা এবার বুঝতে পারছেন। কিন্তু সেই কারণ অনুসন্ধানের কাজটা এখনও বাকি। মনোজ অত্যন্ত হতাশ হয়ে এদিন লিখলেন, আমার শেষ টুইটটার পর আপনারা সবাই আমাকে সমর্থন ও ভালবাসা জাহির করেছেন। তাও যেন এই ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না। আমি ২০১৯ আইপিএলের অংশ নই! কিন্তু বাস্তবটা তো মেনে নিতেই হবে।''