নিজস্ব প্রতিবেদন : রঞ্জিতে এবার বাংলার অধিনায়ক কে হবেন? রবিবার দিনভর চলল নাটক। চলতি মরশুমে রঞ্জিতে অভিযান শুরুর আগেই অধিনায়ক কে হবেন এই নিয়ে জোর জল্পনা? মনোজ তিওয়ারি না কি ইস্তফা দিতে পারেন যা নিয়ে দিনভর নাটকের পর সন্ধেবেলায় নিষ্পত্তি হল। সিএবি-র চাপে নরম হলেন মনোজ। নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বাংলার অধিনায়ক পদে থেকে যেতে রাজি হন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রঞ্জি অভিযান শুরুর আগেই অধিনায়ক বিতর্কে বাংলা দল। অধিনায়ক মনোজ তেওয়ারি ইস্তফা দিতে পারেন- এই জল্পনা ঘিরে রবিবার দিনভর চলল নাটক। মনোজ শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিলে বাংলা অধিনায়ক হিসেবে সুদীপ চ্যাটার্জি ও অভিমন্যু ঈশ্বরণের নামও উঠে আসে। রবিবারই দেওধর ট্রফি খেলে বাংলার অনুশীলনে এসেছিলেন মনোজ তেওয়ারি। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে এদিন এক বারের জন্য নেটের ধারে কাছে যান নি মনোজ। রবিবারই বাংলার অনুশীলনে যোগ দেন মেন্টর অরুণ লাল। মনোজকে দেখেই তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন তিনি। অধিনায়ক পদ থেকে ইস্তফার কারণও জানতে চান। তবে বিষয়টি ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে যান তিনি।



তবে শনিবার রাতেই সিএবি কর্তারা বুঝতে পেরেছিলেন মনোজ রবিবার ইস্তফা দিতে পারেন। আর সেটা হলে দলের মনোবলে চিড় ধরতে পারে এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি রবিবার বাংলা অনুশীলনে উপস্থিত হন সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া।মনোজ-অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন এবং তাঁর ইস্তফার কারণও ব্যাখ্যা করেন। জানা গিয়েছে, দলের দুই সহকারি কোচ ও এক সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন মনোজ। পাশাপাশি দল নির্বাচনে সিএবি তাঁকে যেভাবে উপেক্ষা করেছে তাও ভালো ভাবে নেন নি মনোজ। সব শুনে মনোজকে অধিনায়ক পদে ইস্তফা না দেওয়ার অনুরোধ করেন অভিষেক ডালমিয়া।


রবিবার বাংলা অনুশীলনে সৌরভ উপস্থিত থাকলেও একবারের জন্য মনোজ তেওয়ারির সঙ্গে কথা বলেননি। কোচ সাইরাজের সঙ্গে কথা বললেও এড়িয়ে যান মনোজকে। শেষে সন্ধে বেলায় মনোজের মান ভাঙালেন যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া।  তাঁর পরামর্শেই রঞ্জিতে বাংলা দলের অধিনায়ক পদে থেকে যেতে রাজি হন মনোজ।