কখনও ঘুমোলেন, কখনও নাচলেন! মারাদোনা সব করলেন অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে
মারাদোনা নিজেই জানালেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বটে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের জন্য তাঁর ভালবাসা একদিকে। মহাবিশ্বের বাকি সব কিছু আরেকদিকে। বাকি সব মানে বাকি সব কিছুই। এমনকী, নিজের শরীর, স্বাস্থ্য, রোগ-ভোগ নিয়েও তিনি আপোস করে নিতে পারেন। পারেন না শুধু আর্জেন্টিনাকে ভালবাসার ক্ষেত্রে আপোস করতে। তিনি দিয়েগো মারাদোনা। ফুটবল যাঁর রক্তে। আর আর্জেনটিনা হৃদয়ে।
আরও পড়ুন- 'পল' এর ধারে-কাছেও নেই আর্চিলিস
খবর রটেছিল, মেসিদের ম্যাচ শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মারাদোনা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। মারাদোনা অবশ্য নিজেই জানালেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বটে। তবে তিনি সামলে নিয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্টের জবাব হিসাবে মারাদোনা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ''সবাইকে জানাতে চাই যে এখন আমি ভাল আছি। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। পুরো সময় মাঠে থেকে দেশের খেলা দেখতে পেরেছি।''
আরও পড়ুন- মাছি মারতে কামান দাগল রাশিয়া!
ঘাড়ে প্রবল ব্যথা নিয়েই ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন দিয়েগো। ডাক্তাররা তাঁকে মাঠে যেতে বারণ করেছিলেন। তিনি শোনেননি। শোনার পাত্রও তিনি নন। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ওঠার লড়াই লড়বে। আর তিনি মাঠে থেকে দলের জন্য গলা ফাটাবেন না, তা হয় নাকি! মারাদোনা আবেগঘন হয়ে বলছিলেন, ''হাফ-টাইমে আমার ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়েছিল। অসহ্য ব্যথা নিয়েই আমি খেলা দেখতে এসেছিলাম। হাফ-টাইমে একজন ডাক্তার আমাকে দেখলেন। এবং বললেন, আমি যেন তখনই বাড়ি চলে যাই। কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না। তখনও আমার দল জয় নিশ্চিত করতে পারেনি। আর আমি মাঠ ছেড়ে চলে যাব! এর পর আমি সবার দিকে চুমু ছুঁড়ে দিলাম। তার পর আবার বসে পড়লাম মেসিদের খেলা দেখতে। সবাইকে ধন্যবাদ আমার পাশে থাকার জন্য।''
আরও পড়ুন- ফুটবল মাঠে ক্যাঙারুর ‘কেলেঙ্কারি’
ম্যাচের মাঝে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ঘুমিয়ে পড়তে। কখনও আবার সেই তিনিই চেঁচিয়ে উঠছিলেন মেসিদের সমর্থনে। অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গিতে জয়ের স্বাদ নিচ্ছিলেন। কখনও মারাদোনাচিত ভঙ্গিতে আর্জেন্টিনার গোলের সেলিব্রেশন করছিলেন। তিনি মারাদোনা। তিনি এমনই।