নিজস্ব প্রতিনিধি : দিয়েগো মারাদোনা নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির উপর এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আর মারাদোনার নেশা করার কথা গোপন কিছুও নয়, নতুনও নয়। কিন্তু তিনি কী সারাদিনই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকেন? নাকি সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় তাঁর উপর কোনওরকম নেশার প্রভাব থাকে! এমনই অনেকগুলো প্রশ্ন আপনার মনেও ভিড় করে আসতে পারে। কয়েকটা ভিডিও দেখার পর। দিয়েগো মারাদোনাকে ঘিরে এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলে অনেক প্রশ্ন। তবে কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি হাঁটুর যন্ত্রণায় কাবু বিশ্বকাপ জয়ী। হাঁটুর সমস্যার জন্য সারাদিনে বেশ কয়েকটা কড়া ওষুধ নিতে হয় তাঁকে। সেই সব ওষুধের প্রভাব পড়েছে মারাদোনার কথাবার্তায়। তবে আসল কারণ প্রায় সবারই অজানা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কিক-অফের আগেই গ্রিসের অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ



আর্জেন্টিনার কোচ মারাদোনা একেবারেই সফল নন। কোচ মারাদোনাকে নিয়ে সমালোচনা এতদিন যাবত্ কম হয়নি। সেই মারাদোনা কিন্তু এবার মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের দল দোরাদোসের কোচ হিসাবে সবে সবে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। সেপ্টেম্বরে মারাদোনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় লিগে ১৫ দলের মধ্যে দোরাদোস ছিল ১৩তম। অবনমন বাঁচানোর লড়াই করতে হচ্ছিল তাদের। কিন্তু মারাদোনা দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভোল বদলাতে শুরু করেছে দোরাদোসের। এখন তারা প্রথম বিভাগে ওঠার প্লে-অফের সেমিফাইনালে উঠেছে। যদিও এই মুহূর্তে মেক্সিকোতে দোরাদোসের উত্থান বা মারাদোনার কেরামতি নিয়ে চর্চা কম। বরং আলোচনা ঘিরে রয়েছে মারাদোনার এক সাক্ষাত্কার। যেটা তিনি দোরাদোসের একটা ম্যাচ খেলার পর এক টিভি চ্যানেলকে দিয়েছেন। 


এক মেক্সিকান উপস্থাপত তাঁকে ধরেন ঠিক ম্যাচ শেষে। প্রশ্ন করেন। জানতে চান, মেক্সিকোর ফুটবলের মান সম্পর্কে আপনার কী মত! আপনি তো বেশ কিছুদিন মেক্সিকোর ফুটবল দলের সঙ্গে রইলেন! উপস্থাপক হয়তো আশা করেছিলেন, মারাদোনার থেকে যুতসই উত্তর পাবেন! কিন্তু হল ঠিক তার উল্টো। তিনি মুখে আজবভাবে অ্যা...অ্যা শব্দ করতে থাকলেন। তার পর যে উত্তরটা দিলেন সেটাও জগাখিচুরি মার্কা। আর সেই অ্যা..অ্যা শব্দ করতে করতে তিনি যে সময়টা কাটালেন তাতে আপনি অনায়াসে অনেক কাজ করে আসতে পারবেন। যদিও এমনটা এই প্রথম নয়। এর আগেও মারাদোনা সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় মুখে কথা কম বলে এমন অ্যা..অ্যা শব্দ করে সময় কাটিয়েছেন বেশি। তার এমন করার কারণ অবশ্য এখনও অধরা।