নিজস্ব প্রতিনিধি: দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা মানে একটা চরিত্র। কত তর্ক কত বিতর্ক। মাঠে এবং মাঠের বাইরে। এক বর্ণময় চরিত্র। হ্যান্ড অফ গড হোক কিংবা ডোপ টেস্ট। তার সাফল্যের পিছু পিছু যেন তাড়া করে বেড়িয়েছে অনেক বিতর্কও। তবুও মারাদোনা তো মারাদোনাই। সব বিতর্কই যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছে ওই অনাবিল হাসিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নক্ষত্রপতন! প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা



ফুটবলের রাজপুত্র বরাবরই থেকেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। উত্থানের সময়ই এসেছে আবার বিতর্ক। ফুটবল রাজপুত্র হয়তো তাই কখনও 'গুড বয়' হতে পারেননি। রয়ে গিয়েছেন এক বিতর্কিত চরিত্রও।


  •  ১৯৮৬ ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন। বিতর্কিত সেই গোলের পরই 'হ্যান্ড অফ গড' নামে পরিচিত হন ফুটবলবিশ্বে

  •  ১৯৯১ সালে নাপোলিতে খেলার সময় কোকেইন নেওয়ার অপরাধে  ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসিত হন দিয়েগো মারাদোনা

  •  ১৯৯৪ বিশ্বকাপে খেলার সময় ড্রাগ নেওয়ার অপরাধে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বহিষ্কৃত হন। সেই শাস্তি বহাল থাকে আরও ১৭ বছর

  •  ১৯৯৮ সালে এক সাংবাদিককে গুলি করার অপরাধে এবং কর ফাঁকির অপরাধে ২ বছর ১০ মাসের জেল হেফাজত হয় ফুটবল রাজপুত্রের

  •  ২০১০ সালে আর্জেন্তিনার হয়ে কোচিং করানোর সময় এক সাংবাদিকের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যান মারাদোনা


শুধুই কি তাই। মাদক এবং নারীসঙ্গে বরাবরই বিতর্কে জড়িয়েছেন ফুটবল ঈশ্বর। হিসাবের বাইরে গিয়ে জীবনকে অন্য চোখে দেখতেন। বরাবরই প্রাণবন্ত থাকতে চেয়েছেন। তাইতো আজীবন এক বর্ণময় চরিত্র হয়ে থেকেছেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। তাকে কেন্দ্র করে কতকিছু বিতর্কই না তৈরি হয়েছে। তবু মারাদোনা যেন এক ঈশ্বরের নাম। বিতর্কের কালিও যেন ফিকে হয়ে গেছে ফুটবলার মারাদোনার কাছে। এত কিছুর পরও ফুটবলবিশ্বে মারাদোনা থেকেছেন মারাদোনা হিসাবেই। তার ঈর্ষণীয় স্কিল, গোল, ফুটবল দক্ষতা এগুলোই যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। ফুটবলবিশ্বের এক নক্ষত্রের পতন। তারার দেশে ভালো থেকো আর্মান্দো।