স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


শাস্তি! টেনিস কোর্টে নেই তিনি! তাহলে থাকলো কী! ভেনাস, সেরেনার মতো নারী নামের কেমন দশাসই চেহারার খেলোয়াড় অথবা যেকোনও নামের পিছনে 'রেঙ্কা' জাতীয় কিছু ইউরোপিও খেলোয়াড়, যাঁদের পেশি দেখলে পুরুষ হিসেবেই ভয় লাগে! অমন নারীর থেকে বাবা রে বাবা, শত হস্ত দূরে। খেলাটা হয় 'উওমেন্স'। কিন্ত ওই 'উওমেন্সে' অনেক অনেক 'মেন্স' আছে যেন। শারাপোভার শাস্তি শোনার পর মন যে কথাগুলো বলল। সেগুলোই শেয়ার করা আপনাদের সঙ্গে।


১) যদি হতাম ওর কানের দুল - শারাপোভাকে টেনিস কোর্টে দেখছি তা প্রায় এক যুগ। সেই শুরুর দিন থেকেই। যেদিন উইম্বলডনে সাদা পোশাকে, সবুজ আবহে সোনালী মাতোয়ারা করে দিয়েছিলেন প্রথমবার। খেলা তো দেখিই। কিন্তু মিথ্যে বলে লাভ কী! পুরুষ তো তাই, শারার সৌন্দর্যও যে চেটেপুটে নিয়েছি চোখের কবজি ডুবিয়ে। আর বরাবর ওই লম্বা ঝোলা কানের দুল দুটো দেখে ভেবে এসেছি। ইস, যদি হতাম ওর কানের দুল। সার্ভিসের সময় ধারালো কানের দুল দুটো সজোরে এসে লাগে ওর নরম চিবুকে। আমার বুক থেকে এক ধাক্কায় বেরিয়ে যায় এক মুঠো কার্বন ডাই অক্সাইড। শুধু ভেবেছি, এক যুগ ধরে, যদি হতাম ওই কানের দুল। আলতো করে এসে লাগতাম ওর গালে। দেখতাম, যেন গোলাপি গালে কোথাও আঁচড় না কেটে যায়। আজ শারাপোভার শাস্তি হলে ওই কানের দুল যেন আমার বুকেও বড়সড় ক্ষত তৈরি করে দিয়ে গেল কলজেটায়।


২) এই ডোপ কথাটার সঙ্গে ২৮ বছরের সম্পর্ক হয়ে গেল - প্রথম শুনেছিলাম সেই ১৯৮৮-তে। সিওল। অলিম্পক। বেন জনসন আর ডোপ। একাকার হয়ে গিয়েছিল ২৮ বছর আগের ছোট্ট মাথাটায়। বুঝতে পারিনি কেন বেন জনসনের থেকে পদকটা কেড়ে নেওয়া হল! চ্যাম্পিয়ন। সেরা। অথচ, বলা হল তুমি নিয়ম ভেঙেছো। পরে মারাদোনা। ডোপ বড় 'ডেঞ্জারাস' শব্দ হয়ে গেল আমার কাছে। আক্ষেপ অভিযোগ সেই দিন থেকেই। ধুর ধুর, চ্যাম্পিয়নরে আবার ডোপ করতে হয় নাকি! এটা একেবারেই কর্তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা। তাই এইসব আজব নিয়ম কানুনে খেলাকে বেঁধে রাখা। না হলে ওদের মানবে কে? এক-একজনকে এভাবে খেলতে না দিয়ে কর্তারা বোঝাবে-'দেখলে আমাদের কতটা ক্ষমতা!'



৩) বিশ্বাস করিনা গ্যাপ খুঁজে প্লেসিং করাটাও তুমি ডোপের জন্য পারো - মারাদোনার সময়ও হাস্যকর লাগতো। শারাপোভার সময়ও হাস্যকর লাগে। ঠিক যেমন হাস্যকর লেগেছিল শেন ওয়ার্নের ক্ষেত্রেও! মানে কী! মারাদোনার ওই হাফডজন ইংরেজ ফুটবলারকে কাটিয়ে গোল করতে পারাটা ডোপের জন্য হয় নাকি! ওষুধ কি কারও স্কিল বাড়িয়ে দেয় নাকি! ভুটানের ফুটবলারদের সবাইকে ডোপ করিয়ে দিন দেখি, কেমন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়! দেখতে চাই পৃথিবীর সব বোলার একসঙ্গে ডোপ করার পরও কীভাবে 'গ্যাটিং বল' করতে পারেন! তেমনই শারাপোভার ক্ষেত্রেও এক মত। ফোর হ্যান্ডের জোর বাড়ে ডোপে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে প্রশ্ন। গ্যাপ দেখে নিয়ে, সেই অনুযায়ী প্লেসমেন্টও কি শারাপোভা এত সুন্দর করেন কারণ, তিনি ডোপ করেছেন! আহা রে কী নিয়ম! খেলোয়াড় তাঁর খেলা ছেড়ে শুধু ওষুধ আর নিয়ম কানুন ভেবে-ভেবে পারফরম্যান্সের দফারফা করুক। বলিহারি এদের নিয়ম।



৪) দিব্যেন্দু বড়ুয়া ব্রেনোলিয়া খেলে, সেটা কি ডোপ! - আচ্ছা, এই ডোপ বস্তুটি কি সব খেলাতেই আছে? মানে কোনও দাবাড়ু যদি ব্রেনোলিয়া খান। আর বলা হয় যে, এতে তাঁর স্মৃতিশক্তি বেড়ে গিয়েছে! এটা ডোপ। তাহলেই হয়েছে! অথবা ব্রিজ অলিম্পিয়াড বা ম্যাথ অলিম্পিয়াডের ক্ষেত্রেও তাই। সেখানেও এসব ঢুকে গেলে তো মুশকিল। ওষুধ শরীরের বলবর্ধক হতে পারে। কিন্তু 'স্কিলবর্ধক' হবে কীভাবে! এ প্রশ্ন থেকেই গেল।