ওয়েব ডেস্ক: গোটা ফুটবল দুনিয়া এখন শোকাতুর। নিজের দেশের জার্সি পরে ফুটবলের রাজপুত্র আর ফুটবলে পা দেবেন না। কোপায় চিলির কাছে হারের পরই এই সিদ্ধান্ত। ২৯ বছর বয়সেই 'আলবিদা' বলবেন, কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। মেসি ফিরে আসুক, চাইছে গোটা দুনিয়া। তবে বিশেষজ্ঞ মহল মেসির ফিরে আসার থেকেও বেশি ভাবিত এই সিদ্ধান্ত কেন নিল মেসি? শুধুই কী চাপ? ব্যর্থতা? কোপায় দল ২ বার রানার্স আপ, বিশ্বকাপের মত মঞ্চে দলকে শিখরে তুলেও চ্যম্পিয়ন হতে পারেনি মেসি, জার্মানির কাছে হারতে হয় আর্জেন্টিনাকে। ২০১৬ কোপায় ফেভারিট ছিলেন লিও মেসি ও তাঁর দল আর্জেন্টিনা। জয় না পেলেও কোপার সেরাদের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বর স্থান, বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় স্থান-এও বা কম কী? এনিয়ে তর্ক থাকলেও একথা স্বীকার করতেই হবে মেসি ব্যক্তি হিসেবে সফল। আর্জেন্টিনার সর্বসময়ের টপ স্কোরার এখন তিনিই। এই নজির নেই বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন মারাদোনা। আর তিনি যে ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাতে আরও একবার সুযোগ ছিল রাশিয়ায় দল কে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার। তাহলে কেন এই 'হঠকারি সিদ্ধান্ত'। মনোবিদরা বলছেন, আবেগ আর বাস্তবের দ্বন্দে আবেগকে প্রাধান্য দিয়েছেন মেসি। হয়ত কিছুটা সময় নিজেকে দিলে, এই সিদ্ধান্ত নিতেন না মেসি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে বলা হয় 'অ্যাড্রিনালিন রাশ', অর্থাৎ মানুষের দেহের অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণের ওপরই মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নির্ভর করে। মেসির খেত্রেও তাই। তিন তিন বার 'ব্যর্থ', দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি-এই ভাবনা থেকেই 'অবসর' নেওয়ার কথা ভেবেছেন মেসি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু মেসির ক্ষেত্রেই নয়, এই ঘটনা রয়েছে অনেক। খেলার চাপ, বাইরের সমালোচনা সবটা সবাই একভাবে নিতে পারেন না। আর তার ফলেই যা হতে পারত, বা সম্ভাবনা ছিল তা না হয়ে উল্টো কিছুই হয়ে যায়। খেলার মাঠে এ ছবি নতুন নয়! বিশ্বকাপের ফাইনালে জিদানের ঢুঁসোও এমন এক উদাহরণের নজির। 


'বিশ্বকাপ না জিতে অবসর নেওয়া ভুল', মেসির সিদ্ধান্তে বিস্মিত সৌরভ


নার্ভ ধরে রাখা, শান্ত থাকা মানুষও অনেক সময় আবেগের বসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। বাস্তবধর্মীতাকে প্রাধান্য না দিয়ে আবেগকে বেশি প্রশ্রয় দিলে সিদ্ধান্ত অনেক সময়ই হঠকারি হয়। এমনটা কেবল তারকাদের সঙ্গে হয়, একেবারেই তেমন নয়, হতে পারে আপনার সঙ্গেও!