ওয়েব ডেস্ক: রোজারিও শহরে তাঁকে আর কেউ মেসি বলে ডাকে না! এখন তিনি 'মসিহা'। ঈশ্বরের পাঠানো দূত। ফুটবলের রাজপুত্রকে মনের মণিকোঠায় যারা জায়গা দিলেন, ঈশ্বরের স্থানে উপবিষ্ট করলেন তারা কেউই ফুটবল প্রেমী নন। অভুক্ত কিছু মানুষ, যাদের প্রতিটা সকাল হয়েছে অফুরান খাদ্য সম্ভারের স্বপন দেখে, এক টুকরো রুটির খোঁজ করতে করতে যারা রাত নামতে দেখেছে, সেই মানুষগুলোর 'মসিহা' হলেন 'দ্য মেসি'। আর পাঁচটা তারকা যা কোনও দিন করারা কথা ভেবেও দেখেননি মেসি সেটাই করলেন। নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য যে পরিমাণ খাবারের আয়োজন রেখেছিলেন তাঁর অধিকাংশই বিলিয়ে দিলেন। অতিথিদের আপ্যায়নে যতটা খাবার লেগেছে সেটুকু বাদ দিয়ে সমস্ত বেচে যাওয়া খাবার, ড্রিঙ্কস, সবই হতদরিদ্রদের জন্য দান করে দিলেন লিওনেল মেসি।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রোজারিও ফুড ব্যাঙ্কে সমস্ত খাবার, সফট ড্রিঙ্কস দান করে দিয়েছেন লিও। ওই ফুড ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পাবলো জানিয়েছেন, "আমরা অনুষ্ঠান আয়োজনকারীকে জানিয়েছি, শুধু সফট ড্রিঙ্কস এবং স্ন্যাক্সই সংগ্রহ করব। যেহেতু অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় আমরা নিই না, সেহেতু সেগুল বিক্রি করে সেই অর্থই নেওয়া হবে"। 


গত শুক্রবার আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে ধুম ধুম করে বিয়ে হয় মেসির। নিজের ছোট্টবেলার বান্ধবীর সঙ্গেই প্রণয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ফুটবলের যুবরাজ। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেইমার, সুয়ারেজ, দানি আলভেজ, দি মারিয়া, জাভির মত তারকা ফুটবলাররা। অনেকেই মেসির বিয়েকে বলছেন, "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে"। আর এই গোটা অনুষ্ঠানের সাক্ষ্মী থাকল মেসির সন্তানদ্বয়। থিয়াগো এবং মাতেও, দুজনেই বিরল নজিরের সাক্ষ্মী, যেখানে তারা নিজের বাবা মায়ের বিয়ে দেখছে শুধু তাই নয় আনন্দও উপভোগ করেছে।  উল্লেখ্য, ৩০ বছর বয়সী এই এই বার্সা তারকা এখন মধুচন্দ্রিমায় মনমগ্ন। এরই মধ্যে এই তারকা ফুটবলারের সঙ্গে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত চুক্রি সেরে ফেলেছে স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনা।