নিজস্ব প্রতিবেদন: অসাধারণ টিম গেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (MI) হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB)। শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলের শুভারম্ভ স্মরণীয় হয়ে থাকল বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma) দ্বৈরথ। চিপক দেখল দুর্দান্ত রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। নেক-টু-নেক ফাইটে ম্যাচের শেষ বলে আরসিবি দুই উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ক্যাপ্টেনের এই সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখলেন হর্ষল প্যাটেল। একাই তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। আরসিবি-র নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিরাটের টিম রোহিতদের বেঁধে দিয়েছিল ১৫৯ রানে। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ক্রিস লিন। শুরুটা ভাল করেও রোহিত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রানআউট হয়ে যান। ১৫ বলে ১৯ করে ফেরেন হিটম্য়ান। এবার লিন তাঁর ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়ে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। দু'জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রান তোলেন স্কোরবোর্ডে। কাইলি জেমিসনের বলে এবি ডিভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সূর্যকুমার (২৩ বলে ৩১)। তিনি আউট হওয়ার পর লিনও তাঁরই পথের পথিক হন। ৩৫ বলে ৪৯ করা লিন কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে। চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় লিন নিজের ইনিংস সাজান। ১৩ ওভারের মধ্যে ১০৫ রান তুলে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বই। দলের রান বাড়াতে নেমে ঈশান কিশান ও হার্দিক পাণ্ডিয়া মিডল অর্ডারে এদিন সেই আগুনটা জ্বালতে পারলেন না। ঈশান ১৯ বলে ২৮ ও পাণ্ডিয়া ১০ বলে ১৩ করে ফিরে যান। দু'জনেই হর্ষল প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। এরপর কায়রন পোলার্ড ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়ারাও কাজের কাজ করতে পারলেন না। দু'জনেই ব্যক্তিগত ৭ রান করে ফিরে যান। এবারও সেই প্যাটেল। পোলার্ড-পাণ্ডিয়াও তাঁর বলেই ক্যাচ তুলে ফিরে গেলেন।আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে কোনও বোলার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিতে পারেননি। এদিন সেটাই করে দেখালেন কোহলির দলের বোলার। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে এদিন ৫ উইকেট নিলেন হর্ষল। 


রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন আরসিবি-র দুই ওপেনার- কোহলি ও ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু পঞ্চম ওভারে সুন্দর ফিরে যান মাত্র ১০ রান যোগ করে। ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার বলে লিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর কোহলিকে সঙ্গ দিতে তিনে নামেন রজত পোদ্দার। যদিও ৮ রানেই তাঁকে থামিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। রজতের উইকেট ছিটকে দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটা শুরু করেন কোহলি। জুটি বেঁধে ৫০টি রানও তুলে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু কোহলিও বিপক্ষের ক্যাপ্টেন রোহিতের মতো রান-আউট হয়ে যান ৪৮ রানের মাথায়। কোহলির আউট হওয়ার দু ওভারের মধ্যে আউট হন ম্যাক্সওয়েলও (৩৯)। এরপর মাঠে নামেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ফের তিনি প্রমাণ করে দেন যে বয়সটা কোনও ফ্যাক্টরই নয়। ৩৭ বছরের ক্রিকেটার ভিন্টেজ অবতারে ধরা দেন। ২৭ বলে অসাধারণ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও তাঁকে সঙ্গ দিতে এসে শাহবাজ আহমেদ, ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও কাইল জেমিসনরা চূড়ান্ত ব্য়র্থ হন। কিন্তু শেষ ওভারে যখন বিরাটদের জেতার জন্য সাত রান বাকি ছিল, তখনই রান আউট হন এবিডি। তবুও শেষ বলে এক রান নিয়ে বৈতরণী পার করেন প্যাটেল।