নিজস্ব প্রতিবেদন : দেড় ঘণ্টারও বেশি কচ্ছপ-কামড় দিয়ে পড়ে ছিলেন উইকেটে। ভাবছেন, এ আর এমন কী! স্কোরবোর্ড বলছে, এই দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি ৪৫ টি ডেলিভারি খেলেও কোনও রান করেননি। শূন্য রানেই আউট হয়ে ফিরেছেন। তবে তাঁর এই শূন্য রানের ইনিংসও দলকে সাহায্য করেছে। কী করে! আসলে নবম উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন জেসন হোল্ডারের সঙ্গে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ খেলেন তিনি। তবে দিনের শেষে মিগুয়েল কামিন্সের ঝুলিতে কোনও রান ছিল না। তিনি ফেরেন খালি হাতেই। যদিও এই শূন্য রান করার পরও তিনি ড্রেসিরুমের হিরো ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  নতুন লুকে ধোনি! মাথায় কালো কাপড় বেঁধে জয়পুর বিমানবন্দরে দেখা গেল মাহিকে



টেস্ট ক্রিকেটে সব থেকে বেশি বল খেলে শূন্য রানের রেকর্ড রয়েছে জিওফ অ্যালটের। ৭৭ বল খেলে শূন্য করেছিলেন তিনি। এই তালিকায় কামিন্স রইলেন পাঁচ নম্বরে। দুইয়ে রয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন (৫৫ বলে শূন্য)। তিনে রিচার্ড এলিসন (৫২ বলে শূন্য)। প্রথম ইনিংসে ২২২ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ২২২ রানের মধ্যে কামিন্সের রান শূন্য। তবুও কামিন্সের লড়াকু মানসিকতার জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ২০০-র ঘরে পৌঁছেছে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে তিনি ভারতীয় বোলারদের বিরক্ত করে ছাড়লেন। কামিন্স যেন উইকেটে পড়ে থাকার জন্যই নেমেছিলেন। আর তিনি সেটাই করলেন। রান এল না। তাতে তাঁর কিছু যায় আসেনি।


আরও পড়ুন-  এই ছবিটির জন্য ট্রোলড বুমরা, সমালোচকদের দিলেন পাল্টা জবাব


উইকেটে সব থেকে বেশিক্ষণ সময় কাটিয়ে শূন্য রান করার রেকর্ড আরেকটু হলে ছুঁয়ে ফেলতেন কামিন্স। ১০১ মিনিট উইকেটে ছিলেন অ্যালট। কামিন্স এদিন ভারতের বিরুদ্ধে উইকেটে ছিলেন ৯৫ মিনিট। কামিন্সের স্লো ব্যাটিংয়ে বিরক্ত হয়ে একটা সময় বিরাট কোহলিও তাঁকে স্লেজিং করে বসেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে কোনও ব্যাটসম্যান এমন কচ্ছপ-কামড় দিয়ে উইকেটে পড়ে থাকলে যে কোনও বিপক্ষ অধিনায়কেরই হয়তো ধৈর্যচ্যুতি হত!