নিজস্ব প্রতিবেদন: এই বিশ্বকাপের নায়কের মন খারাপ! গোটা বিশ্বকাপ দাপিয়ে এসে শেষে কিনা তীরে এসেই তরী ডুবল। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ব্রাজিল বিশ্বকাপে। মনে পড়ে যাচ্ছে মেসির কথা। বিশ্বের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় সেরা ফুটবলার হয়েও খুশি হননি তিনি। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও কাপ হাতছাড়া হয়েছে ‘যুবরাজে’র। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষেও যেন সেই ছবির পুনরাবৃত্তিই ঘটল। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সোনার বল হাতে ম্লান ছিলেন মেসি। সে বার দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি আর্জেন্টাইন  এলএম টেন। এবার পারলেন না ক্রোয়েশিয়ার ‘এলএম টেন’। আর এই না পারার যন্ত্রণাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে লুকা মদ্রিচকে।  কাকতালীয়ভাবে দু’জনের সংক্ষিপ্ত নাম এবং জার্সি নম্বরও এক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মাঝমাঠে পুতিন বিরোধী আন্দোলন! পুলিসের ছদ্মবেশে ফাইনাল খেলা থামালেন তাঁরা


রাশিয়া বিশ্বকাপের ট্র্যাজিক নায়ক সোনার বল জিতে বলছেন, “এটা তিক্ত সাফল্যতা”। বিশ্বকাপ জয়ই চূড়ান্ত সাফল্য, সে কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, “যারা আমাকে সমর্থন করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তবে বিশ্বকাপ জিতলে আমি বেশি খুশি হতাম। আমরা লড়াই করেছি, তার জন্য আমরা গর্বিত। কিন্তু বিশ্বকাপ না জেতার দুঃখ থেকেই যাবে”।


আরও পড়ুন- তিনি কাঁদলেন, তিনি কাঁদালেন!


৬৮ বছরের বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৪২ লাখি দেশ ক্রোয়েশিয়া এই প্রথমবার ফাইনাল পর্যন্ত এলো। এবং যোগ্যতার সঙ্গেই পারফর্মও করল। তবে ভাগ্য সদয় না হলে যা হয়! না হলে কি মানজুকিচের মতো তারকা স্ট্রাইকার আত্মঘাতী গোল করেন? পেরিসিচের মতো ম্যাচ উইনারের একটা অসতর্ক মুহূর্তে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স? এ সবের পর মদ্রিচের আর কি বা করার থাকে। ফুটবল যে প্রতিমুহূর্তে অঘটন! তাই আক্ষেপের সুরে ক্রোয়োশিয়ার তারকা মিডফিল্ড বলছেন, “আমরা ইতিহাস বদলে দিতে পারব না। তবে মনে হয় আমাদের আরও বেশি কিছু প্রাপ্য ছিল”। মদ্রিচের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আরেক মিডফিল্ডার রাকিতিচও বলছেন, “ফ্রান্সের উপর ভাগ্য সদয় হয়েছে। আমার এটা ভেবেই খারাপ লাগছে, আমরা ভাল দল, জয় আমাদেরই প্রাপ্য।”