জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর ঠিক দু'দিন পরেই ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস (75th Independence Day)। ঐতিহাসিক ১৫ অগাস্টের আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম ডিপি তেরঙায় মুড়লেন এমএস ধোনি (MS Dhoni)। এর সঙ্গেই ইংরাজি, হিন্দি ও সংস্কৃতি ভাষায় তিনি লিখেছেন, 'একজন ভারতীয় হিসাবে আমি ধন্য।' ১৫ বছর ভারতীয় ক্রিকেটের একনিষ্ঠ সেবক হিসাবে দেশের সেবা করেছেন ধোনি। টিম ইন্ডিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক ২০২০ সালের ১৫ অগস্টই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপেই শেষবার নীল জার্সিতে দেখা গিয়েছিল ধোনিকে। দেখতে দেখতে ধোনির অবসরের দ্বিতীয় বার্ষিকী আসতে চলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


'ক্যাপ্টেন কুল' এর নেতৃত্বে ভারত ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতে। ধোনির অপ্রতিরোধ্য মেন ইন ব্ল্যু ২০১৩ সালে জিতে নিয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ধোনির নেতৃত্বে ২০১০ ও ২০১৬ সালে ভারত জেতে এশিয়া কাপও। ২০২০ ও ২০১১ সালে ধোনির টিম আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মেসও হাতে তুলেছিল। ধোনি দেশের জার্সিতে অবসর নেন ঠিকই, কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলছেন তিনি। বাইশ গজের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটার হলুদ জার্সিতে ফ্যানদের আজও আনন্দ দিচ্ছেন।ধোনি কিন্তু শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি রীতিমতো প্রশিক্ষিত সেনা।


আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: ইডেনে ব্যাট হাতে নামছেন সৌরভ, সামলাবেন স্টেইনদের গোলাগুলি!


২০১১ সালে ধোনিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী সাম্মানিক লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল পদে ভূষিত করেছিল। এর ঠিক চার বছর পরেই ধোনি সফল ভাবে প্যারাসুট জাম্প ট্রেনিং শেষ করে হয়ে ওঠেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্যারাট্রুপার। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় সেনার 'বলিদান' প্রতীক উইকেটকিপিং গ্লাভসে ব্যবহার করে বিতর্কেও জড়িয়ে ছিলেন ধোনি। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই ধোনি চলে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কাশ্মীরে। সেখানে ১০৬ টেরিটোরিয়াল আর্মি ব্যাটালিয়ান (প্যারা)-এ প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ভিক্টর ফোর্সের হয়ে সপ্তাহ দুয়েকের এই প্রশিক্ষণে অন্যান্য সেনা জওয়ানদের মতোই ধোনিও পেট্রোলিং অর্থাত্ টহলদারি এবং পাহারা দেওয়ার কাজ করেছেন। অবসরে সহকর্মীদের সঙ্গে ভলিবলও খেলেন তিনি।


ধোনি বরাবরই ভারতীয় সেনার জন্য কিছু করতে চেয়েছেন। তাঁর দেশপ্রেম কিন্তু অন্য মাত্রায়। যা কথা বলে। গতবছর ন্যাশানল ক্যাডেট কর্প অর্থাৎ এনসিসি তাদের কাজকর্ম তদারকির জন্য ১৫ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই কমিটিতে ছিলেন ধোনি। কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন আইন প্রণেতা বৈজয়ন্ত পাণ্ডা। রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কর্নেল রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধি, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আক্তারের মতো নাম।