ধোনির মস্তিষ্কই তাঁর সব থেকে বড় অস্ত্র, প্রমাণ দিয়ে গেল এক ভিডিয়ো
আরও একবার জানা গেল, ফিনিশার হিসাবে মাঠে তিনি কতটা হিসেব-নিকেশ করেন!
নিজস্ব প্রতিবেদন : মহেন্দ্র সিং ধোনির সব থেকে বড় অস্ত্র কোনটা! তাঁর বরফের মতো ঠাণ্ডা মেজাজ! নাকি তাঁর ক্রিকেট মস্তিষ্ক! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জিতে উঠে কেদার যাদব বলে গেলেন, ধোনি মাঠে থাকা মানে দুটো মস্তিষ্ক একসঙ্গে কাজ করে! সেটা ধোনি যেন নিজেই প্রমাণ করে গেলেন। একটা ম্যাচ জয়ের পিছনে তাঁর হোমওয়ার্ক কেমন থাকে! তিনি আদতে জয়ের রাস্তায় হাঁটার সময় অনেক হিসেব-নিকেশ করে থাকেন! এসব কোনও তথ্য নয়। আসলে এগুলো সবই বাস্তবে ঘটান এমএস ধোনি।
আরও পড়ুন- ধোনির ক্যাচ নিয়েও আউট করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া! দেখুন ভিডিয়ো
২০১৮ খুবই খারাপ কেটেছে ধোনির। বিশ্বকাপজয়ীর ব্যাট থেকে আসেনি একটাও অর্ধশতরান। কিন্তু ২০১৯-এ বছরের শুরুতেই ধোনির যেন পূনর্জন্ম হয়েছে। বছরের শুরুতেই দেশকে সিরিজ জেতানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর দুরন্ত ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কই ভারতকে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে জয়ের দ্বোরগোড়ার পৌঁছে দিয়েছে। একটা ভিডিও সেটা প্রমাণ করে গেল। আরও একবার জানা গেল, ফিনিশার হিসাবে মাঠে তিনি কতটা হিসেব-নিকেশ করেন! ম্যাচ শেষ করে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে নামেন। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তিনি রীতিমতো ছক কষে চলেন।
মেলবোর্নে তখন ৪৭ ওভারে বোলিং করতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন অজি পেসার ঝে রিচার্ডসন। তার আগে ড্রিঙ্কস ব্রেক নিচ্ছিলেন ধোনি ও কেদার যাদব। সেই সময় ধোনির ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন আম্পায়ার। ধোনি পুরো ড্রিঙ্কস শেষ করে আচমকা আম্পারারে কাছে চলে যান। তার পর তাঁর হাতে থাকা চিরকুটে উঁকি মারতে শুরু করেন। এর পর আম্পায়ারের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড কথোপকথনেও দেখা যায় ধোনিকে। পুরো ব্যাপারটাই ভিডিওত ধরা পড়ে। তবে সমর্থকরা তখনও বুঝতে পারছিলেন না, আসলে কী চলছে! ধোনি কেন আম্পায়ারের হাতে রাখা চিরকুটে উঁকি মারলেন! আম্পায়ারকে কীই বা জিজ্ঞেস করলেন! ম্যাচের তখনও তিন ওভার বাকি ছিল। ধোনি আসলে আম্পায়ারের হাত রাখা নোটবুকে দেখে নিয়েছিলেন, অজি বোলারদের মধ্যে কার কার ওভার বাকি রয়েছে! যাতে শেষ তিন ওভার তিনি সেই বোলারদের বিরুদ্ধে নিজের স্ট্র্যাটেজি সাজাতে পারেন! ধোনির এমন একটা ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ভক্তরা তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকেই বলছেন, এমন ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ও অঙ্ক কষার অসাধারণ দক্ষতাই ধোনিকে আলাদা উচ্চতায় তুলে ধরেছে।