নিজস্ব প্রতিনিধি :  প্রাইভেট পার্সন। নিজেকে এভাবে রাখতেই ভালবাসেন তিনি। সময় অসময় কখনওই তিনি কারও ফোন ধরেন না। বরং হাতের কাছে ফোন থাকলেও তিনি কারও কল রিসিভ করেনা চট করে। মহেন্দ্র সিং ধোনির এই বদঅভ্যেস নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। এমনকী তাঁর স্ত্রী সাক্ষী ধোনিও এই ব্যাপার নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন একবার। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেননি, কেন ধোনি এমনটা করেন! নিজের এই বদঅভ্যাস কেন বজায় রেখেছেন ধোনি! কেন তা বদলানোর কোনও চেষ্টা পর্যন্ত করেন না!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  নভেম্বরে দশ ওভারের লিগ, আরও ছোট হচ্ছে ক্রিকেটের ফরম্যাট


ভিভিএস লক্ষ্মণ একবার জানিয়েছিলেন, ২০১২-তে তিনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটা সবার আগে ধোনিকে জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধোনি তাঁর কল রিসিভ করেননি। ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারও একাধিকবার বলেছেন, কোনও প্রয়োজনে ফোন করলেও ধোনিকে সময়মতো পাওয়া যায় না। এমনকী, মেয়ে জিভার জন্মের খবরটাও ধোনিকে অন্যের মারফত দিতে হয়েছিল সাক্ষীকে। কেন এমন করেন ধোনি? নিজেই জানালেন এতদিনে সে কথা। বললেন, ''প্রযুক্তি আর আমার মধ্যে দৃরত্ব অনেকটা। আমি ফোন সেভাবে ব্যবহার করি না। আমার ফোন না ধরা নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। অনেকে এই জন্য আমাকে অপছন্দ করে। কিন্তু আমি মনে করি, প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে করা উচিত।''


আরও পড়ুন-  আদালতে ব্যাকফুটে বেন স্টোকস, ভারতের বিরুদ্ধে বাকি সিরিজে অনিশ্চিত!


কথায় কথায় লক্ষ্মণের অবসরের প্রসঙ্গ উঠল। ধোনি বললেন, অনেকেই ওই ব্যাপারটার মধ্যে বিতর্ক খুঁজেছেন। কিন্তু যারা আমাকে চেনে তারা জানে ফোনে আমাকে চট করে পাওয়া যায় না। তাই সেদিন লক্ষ্মণভাই আমাকে পায়নি। ইচ্ছে করে ওর ফোন ধরিনি, এমন নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপের সপ্তাহখানেক আগে বাবা হয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তাই সঙ্গে ফোন রাখতেন না ধোনি। ফলে জিভার জন্মের খবরটা সবার আগে সুরেশ রায়নাকে দিয়েছিলেন ধোনি-পত্নী। রায়না পরে খবরটা দেন ধোনিকে। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলছিলেন, ''আমি একেবারেই প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকি তা নয়। কোনও প্রয়োজনে ভিডিও দেখা বা অডিও শোনা চলে। আবার কখনও কখনও গেম খেলি। কিন্তু আমার মনে হয়, প্রযুক্তি এমন একটা জিনিস যেটার ব্যবহার ঠিকঠাকভাবে হওয়া উচিত। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তাই আমি প্রযুক্তিনির্ভর নই।''