নিজস্ব প্রতিনিধি : ওয়ানডে ক্রিকেটে ১২১টি স্টাম্পিং করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যার মধ্যে একটি স্টাম্পিং-এর দ্রুততা ০.০৮ সেকেন্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিমো পলকে স্টাম্প করেছিলেন ধোনি। আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে। রবীন্দ্র জাদেজার গুড লেন্থ-এ করা ডেলিভারি কিছুটা সামনে এগিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন কিমো। মিস করেন। চোখের পলক পড়ার আগে স্টাম্প উড়িয়ে দেন এমএসডি। সেই স্টাম্পিং নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ''আপনি শুয়োরের মতো মোটা কেন!'' ছেলের সামনে চরম অপমানিত পাকিস্তানের অধিনায়ক



শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ধোনি কম্পিউটারের থেকেও দ্রুত। আবার কেউ কেউ বলেছেন, কিপার ধোনির গতি আলোর থেকেও বেশি। সত্যিই তাই। কিপিং গ্লাভস হাতে ধোনি যেন অন্য অবতার। উইকেটকিপিং ব্যাপারটাকে তিনি শিল্পের পর্যায় নিয়ে গিয়েছেন। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে উইকেটের পিছনে তিনি একক ও অদ্বিতীয়। কিপিং-এর সঙ্গে সঙ্গে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানের গেম রিডিং করেন। বোলারদের পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ সময়েই সেই পরামর্শ সুফল দেয়। যত দিন যাচ্ছে ধোনি যেন ততই দ্রুতগতিসম্পন্ন হয়ে উঠছেন। উইকেট পিছনে ধোনি থাকলে যে কোনও ব্যাটসম্যান বাড়তি সতর্ক।


আরও পড়ুন-  রোনাল্ডোর মতো সেলিব্রেশন! বিদ্রুপের শিকার বাংলাদেশের সৌম্য সরকার


ধোনির এই দ্রুত গতির রহস্য কী! জানা গেল আসল কারণ। ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর ধোনির এমন গতির রহস্য ফাঁস করলেন। শ্রীধর বললেন, ''প্র্যাকটিসের সময় ধোনি বিশেষ একরমক ড্রিল করে। ব্যাপারটা এমন, ধোনি কাউকে প্লাস্টিকের স্প্রিং স্টাম্পে বল থ্রো করতে বলে। তারপর সেই বল স্টাম্পে লেগে যখন দিক পরিবর্তন করে, তখন সেটা ধরে ফেলার চেষ্টা করতে থাকে। এভাবে ও নিজের রিফ্লেকশন বাড়িয়েছে। প্রতি ম্যাচের আগেই ও এই বিশেষ ড্রিল প্র্যাকটিস করে। আসলে এক্ষেত্রে ওর গতি নির্ভর করে রিফ্লেক্স-এর উপর। রিফ্লেক্স ভাল রাখতে ও কখনও স্লিপ ক্যাচিং প্র্যাকটিস করে।''