নিজস্ব প্রতিবেদন: রান্নাঘর পরিষ্কার করা নিয়ে বচসা, তার রেশ ক্রমাগত হওয়ায় পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। পরিজনের কাছেই আক্রান্ত হন জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ মনিকা ঘোষ। এমনকি পারিবারিক বিবাদের জেরে শারীরিক ভাবে হেনস্থা হতে হয় মনিকার বাবা কার্তিক ঘোষ এবং মা মাধবী ঘোষকেও। আর এই ঘটনার কথা যখন নিকটবর্তী থানায় জানানো হয় তখন পুলিসকে ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


(জাতীয় হ্যান্ডবল দলের সঙ্গে মনিকা)


 জাতীয় স্তরের হ্যান্ডবল খেলোয়াড় মনিকার অভিযোগ তাঁর মেজো কাকা মন্টু কিশোর ঘোষ এক সময় লাল বাজারে চাকরি করতেন বলেই তাঁদের অভিযোগ নেয়নি উল্টোডাঙা থানা। উল্টে, পুলিস তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, মনিকা এবং তাঁর মা, মন্টু কিশোর ঘোষের স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষকে মারধর করেছেন। তবে এই অভিযোগ অসত্য বলেই দাবি করেছেন মনিকা।


জয়পুরিয়া কলেজের ছাত্রী ২০ বছরের মনিকা অভিযোগ করেছেন, তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। রেয়াত করা হয়নি তাঁর বাবা-মা-কেও।  মনিকার আরও অভিযোগ, তাঁর কাকারা চায় না যে তিনি এবং তাঁর মা-বাবা বিধাননগরের বাড়িতে থাকুক। মনিকা জানিয়েছেন, তাঁর ছোট কাকা সমীর ঘোষ তাঁকে বুকে গলায় আঘাত করেন। এক্স-রে-তে দেখা যায় সেখানে ফাটল ধরেছে। তার চিকিত্সা এখনও চলছে।   


উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবরে। গান্ধী জয়ন্তীর দিন অসুস্থ মনিকাকে মারধর করা হয়। এমনকি আর জি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও রয়েছে মনিকার কাছে।



এখন প্রশ্ন, এরপরও কেন তত্পর হল না পুলিস? মনিকার দাবি তাঁর কাকা কলকাঠি নাড়াতেই পুলিস নিষ্ক্রিয় রয়েছে, উল্টে যাতে এই বিষয়ে যেন তাঁরা চুপ থাকে সেই জন্যও তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কেরিয়ার শেষ করে দেওয়া হবে বলেও, মনিকাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  এই বিষয়ে মনিকার কাকি লক্ষ্মী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি।