Colin De Grandhomme: তুলে রাখলেন নিউজিল্যান্ডের জার্সি, খেলবেন অস্ট্রেলিয়ায়!
গ্রান্ডহোম দেশের জার্সি তুলে রাখার প্রসঙ্গে বলেছেন, `নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পেরেছি। এটাই বিরাট সৌভাগ্যের আমার কাছে।` গ্রান্ডহোমের বয়স এখন ৩৬। চোট-আঘাত এবং বয়সের কথা মাথায় রেখেই গ্রান্ডহোম মনে করছেন যে, তাঁর পক্ষে আর ট্রেনিং করা সম্ভব হচ্ছে না। সাত-পাঁচ ভেবেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যবনিকা টানলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) অলরাউন্ডার কলিন ডে গ্রান্ডহোম (Colin de Grandhomme) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন। তাঁর দেশের ক্রিকেট বোর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট গ্রান্ডহোমের সঙ্গে আলোচনা করেই জানিয়েছে যে, তাঁকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আর রাখা হবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা বললেও, গ্রান্ডহোম কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটকে ছাড়ছেন না। তিনি অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলবেন বিগ ব্যাশ লিগ। গত রবিবার জেসন গিলেসপির দল ড্রাফটে নিয়েছে গ্রান্ডহোমকে। জানা যাচ্ছে যে, নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলে, তাঁর পক্ষে বিদেশের লিগে খেলা নিয়ে কোথাও সংঘর্ষ বাঁধতে পারত। সেই কারণেই গ্রান্ডহোম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
গ্রান্ডহোম দেশের জার্সি তুলে রাখার প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পেরেছি। এটাই বিরাট সৌভাগ্যের আমার কাছে।' গ্রান্ডহোমের বয়স এখন ৩৬। চোট-আঘাত এবং বয়সের কথা মাথায় রেখেই গ্রান্ডহোম মনে করছেন যে, তাঁর পক্ষে আর ট্রেনিং করা সম্ভব হচ্ছে না। সাত-পাঁচ ভেবেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যবনিকা টানলেন। বিদায়লগ্নে গ্রান্ডহোম বলেন, 'আমার এটা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, আমার বয়স কমছে না। বিশেষত চোট-আঘাতের জন্য় ট্রেনিং করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারও বাড়ছে। আমি বোঝার চেষ্টা করছি যে, ক্রিকেটের পর আমার ভবিষ্যত কী! বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এসবই ভাবছিলাম। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক করেছিলাম। সত্যিই সৌভাগ্যবান ব্ল্যাকক্যাপসের হয়ে খেলতে পেরেছি। আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের জন্য় আমি গর্বিত। কিন্তু আমার মনে হয়, শেষ করার এটাই সঠিক সময়।'
গ্রান্ডহোম দেশের হয়ে ২৯টি টেস্ট খেলেছেন। ৩৮,৭০-র গড়ে করেছেন ১৪৩২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর সেঞ্চুরিও রয়েছে। গ্রান্ডহোমের লাল বলের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১২০। তিনি ৪৯টি উইকেটও নিয়েছেন টেস্টে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক করেই তুলে নিয়েছেন হাফ ডজন উইকেট। খরচ করেছিলেন ৪১ রান। ৪৫টি ওয়ানডে (৭৪২ রান ও ৩০টি উইকেট) ও ৪১টি টি-২০ (৪৬১ রান ও ১২টি উইকেট) খেলেছেন।