নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রাখলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যদিও ম্যাচ জেতা হল না ভারতের। একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে নিল নিউ জিল্যান্ড। মুম্বইতে ভারত বনাম নিউ জিল্যান্ডের একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৮০ রান তুলেছিল ভারত। নিজের ২০০ তম একদিনের ম্যাচে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করেই থেমেছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি! মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে সেঞ্চুরির হিসেব পন্টিংয়কেও টপকে গেলেন তিনি। পন্টিংয়ের সেঞ্চুরি ৩০টি। বিরাটের এদিন একদিনের ক্রিকেটে ৩১ নম্বর সেঞ্চুরিও হয়ে গেল। ১১১ বল খেলেই নিজের সেঞ্চুরি করে ফেলেন বিরাট। শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা, কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। কারণ, ওই সময় ওয়াংখেড়েতে যেন গোলাগুলি ছুঁড়ছেন নিউ জিল্যান্ডের বাঁ হাতি বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। শিখর ধাওয়ান আউট হয়ে যান মাত্র ৯ রান করেই। রোহিত সাউদিকে পরপর দুটো ছক্কা হাঁকিয়েই আউট হয়ে যান ২০ রান করে। মিডল অর্ডারে কেদার যাদবও টেকেননি এদিন। মাত্র ১২ রানেই আউট হয়ে যান। দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরে ৪৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন দীনেশ কার্তিক। মহেন্দ্র সিং ধোনিও বিশেষ রান পাননি। ৪২ বলে ২৫ রান করে বোল্টের বলেই আউট হন তিনি। হার্দিক পাণ্ডিয়া করেন ১৬ রান। কিউয়ি বোলারদের মধ্যে বোল্ট একাই পেয়েছেন ৪টি উইকেট। তিনটে উইকেট পেয়েছেন সাউদি। একটি উইকেট পেয়েছন স্যান্টেনার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন প্রত্যাশা মতোই মালয়েশিয়াকে হারিয়ে এশিয়া কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন ভারত


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউয়িরা। তাদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্তিল এবং মুনরো শুরুটা খারাপ করেননি। গাপ্তিল আউট হন ৩২ রান করে। আর মুনরো আউট হন ২৮ রানে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন অবশ্য এদিন রান পাননি। তিনি মাত্র ৬ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে ধরে নেন নিউ জিল্যান্ডের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ল্যাথাম এবং রস টেলর। আগের সফরে এসেও ভারতে ভাল খেলেছিলেন টম ল্যাথাম। এবারও শুরুটা দারুণ করলেন। প্রথম ম্যাচেই করলেন সেঞ্চুরি। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিলেন রস টেলর। ল্যাথাম অপরাজিত থাকলেন ১০৩ রান করে। আর টেলর আউট হন ৯৫ রান করে। প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউয়িরা।


আরও পড়ুন ইরানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে মালির মুখোমুখি স্পেন