নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রভাব এবার রাজনীতির উঠোন ছাড়িয়ে ক্রিকেট মাঠে পৌঁছেছে। গুয়াহাটিতে ভারত-শ্রীলঙ্গা সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্য়াচ খেলতে নামবে ৫ জানুয়ারি। আর ওই ম্যাচে দর্শকরা মাঠে কোনওরকম পোস্টার বা ব্য়ানার নিয়ে যেতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। গুয়াহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়াম নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এনআরসি ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয়েছে আসাম। ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। ম্যাচে তারই প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে বিসিসিআই। আর সে জন্যই পোস্টার বা ব্যানার নিয়ে মাঠে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসাম রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, রবিবার ম্য়াচে দর্শকদের কোনওরকম পোস্টার বা ব্যানার নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনেক সময়, দর্শকরা চার বা ছয় লেখা সাধারণ পোস্টার নিয়ে মাঠে আসেন। তবে রবিবার ওরকম কোনও সাধারণ পোস্টার নিয়েো মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। এমনকী, প্রিয় তারকার জন্য কোনওরকম বার্তা লেখা পোস্টারও বাদ। এছাড়া স্কেচ পেন, রং, তুলি, মার্কার ও পেন্সিলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি এবং মানিব্যাগ। মাত্র এই তিনটি জিনিস নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা। সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এমপি গুপ্তা।


আরও পড়ুন-  ভারতীয় সমর্থকদের জন্য সুখবর, স্টাম্পস্ উড়িয়ে ফিরলেন 'বুম বুম' বুমরা


আগের থেকে আসামের পরিস্থিত এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) এবং বিসিসিআই। ক্রিকেট ম্য়াচকে মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করতে পারে বিক্ষোভকারীরা। এমনই আশঙ্কা রয়েছে। এসিএ-র সচিব দেবজিত শইকিয়া অবশ্য রাজনৈতিক পোস্টার নিয়ে মাঠে ঢোকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় বোর্ডের নির্দেশ ছিল। আমরা সেটাই ফলো করেছি। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে যে ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার চুক্তি ছিল, তা সাতদিন আগে শেষ হয়েছে। ফলে সংস্থার নাম ও লোগো লাগানো কোনও চার বা ছক্কার ব্যানার নিয়ে সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, ৩৯,৪০০ দর্শকাসন রয়েছে বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২৭ হাজার টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।