MS Dhoni and Sunil Gavaskar: ধোনি নন, সানির চোখে প্রকৃত `ক্যাপ্টন কুল` কে? নাম জানলে অবাক হবেন
ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের যে একটা অধ্যায়, সেটা আজ আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল দু`বার বিশ্বকাপ খেতাব জয় করেছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর সেই সিগনেচার ছক্কার কথা আজও ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়ে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েক দিন আগের কথা। পঞ্চম বার আইপিএল (IPL Final 2023) জেতার পরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) সই নিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। সানির জামার বুকের দিকে সই করে দিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) অধিনায়ক। 'ক্যাপ্টেন কুল' (Captain Cool) ধোনিকে বরাবরই পছন্দ করেন সানি। তিনবার আইসিসি (ICC) ট্রফি জয়ী অধিনায়ককে আলাদা চোখে দেখেন 'লিটল মাস্টার'। তবে এত সাফল্য পাওয়ার পরেও ধোনিকে 'ক্যাপ্টেন কুল' তকমা দিতে রাজি নন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন ওপেনার। বরং তাঁর মতে 'ক্যাপ্টেন কুল' হলেন কপিল দেব (Kapil Dev)। যার নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে (ICC World Cup 1983) প্রথমবার বিশ্বজয়ী হওয়ার স্বাদ পেয়েছিল ভারতীয় দল।
মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের ৪০ বছর পালন করেছে 'কপিল ডেভিলস'। যশপাল শর্মা ও রবি শাস্ত্রী ছাড়া সেই দলের সবাই মেতেছিলেন সেলিব্রেশনে। সেখানেই কপিলকে তিনি 'ক্যাপ্টেন কুল' বলে সম্বোধন করেন।
সিনিয়র গাভসকর বলেন, "১৯৮৩ সালে প্রতিযোগিতায় কপিল শুধু নিজেকে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক হিসেবে তুলে ধরেনি। অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। এরসঙ্গে যোগ হয়েছিল ফাইনালে মদন লালের বলে ভিভিয়ান রিচার্ডসের সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরা। কারণ সেই ক্যাচ ধরতে পারার জন্যই আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম।"
আরও পড়ুন: Sarfaraz Khan vs BCCI: ঝুড়ি ঝুড়ি রান করেও কেন ব্রাত্য সরফরাজ? জবাব দিল বিসিসিআই
সানি ফের যোগ করেন, "কপিলের অধিনায়কত্ব ডায়নামিক ছিল। যখন যে সিদ্ধান্তটা নেওয়া দরকার ছিল সেটাই ও দুর্দান্তভাবে গ্রহণ করত। আর যখন কোনও ক্রিকেটার ফিল্ডিং মিস করত কিংবা ক্য়াচ ফসকাত, তখনও শুধু হেসেই ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলত। আর সেকারণেই ও হচ্ছে আসল ক্যাপ্টেন কুল।"
গাভাসকার আরও যোগ করেছেন, "একদিনের ক্রিকেটে ওর অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস আজও আমার চোখে দেখা সেরা। আমি কোনও ক্রিকেটারকে অসম্মান না করে আজও একথাটা অনায়াসে বলতে পারি।" জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কপিল শতরান করেছিলেন। এই ম্যাচে ভারতের জয়ের সুযোগ যারপরনাই কম ছিল। সেবার ৮ ম্যাচে ৩০৩ রান করেছিলেন ভারতের অধিনায়ক। গড় ৬০.৬০। স্ট্রাইক রেট ১০৮.৯৯। সঙ্গে ছিল একটি শতরান। নিয়েছিলেন ১২টি উইকেট। বল হাতে সেরা পারফরম্যান্স ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কপিল নিয়েছিলেন ৪৩ রানে ৫ উইকেট।
ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের যে একটা অধ্যায়, সেটা আজ আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল দু'বার বিশ্বকাপ খেতাব জয় করেছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর সেই সিগনেচার ছক্কার কথা আজও ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়ে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি ২০১৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে অধিনায়ক হিসেবে ধোনির পথচলা শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর। যদিও ১৯৮৩ সালের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককেই 'ক্যাপ্টেন কুল' বলে মনে করেন সানি।