পাকিস্তান এ ৩৫২/৮
ভারত এ ২২৪
পাকিস্তান জয়ী ১২৮ রানে হাতে ১০ ওভার রেখে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এ ও পাকিস্তান এ (India A vs Pakistan A)। বাইশ গজের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ফের একবার সম্মুখ সমরে। যতই হোক না জুনিয়র টিম, তাবলে হাইভোল্টেজ মহারণ ঘিরে উত্তেজনা কিছু কম ছিল না ওয়াঘার দুই পারের দেশের। ফাইনালে যশ ধুলের (Yash Dhull) ভারতই ফেভারিট। এটাই বলা হচ্ছিল বারবার। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটল। ধোপেই টিকতে পারল না ভারত! ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে মহম্মদ হ্যারিসের (Mohammad Haris) টিম জিতে নিল কাপ! গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই পাকিস্তান দলকেই ২০৫ রানের মধ্যে অলআউট করে দিয়েছিল ভারত। রবিবাসরীয় ফাইনালে একেবারে সুদে-আসলে বদলা নিল পাকিস্তান।


আরও পড়ুন: 'গ্রো আপ'! বিশ্বকাপের প্রোমোতে নেই বাবর, অগ্নিশর্মা আখতার



এদিন কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে, (R Premadasa Stadium, Colombo) ধুলরা টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই ভুল তা শুরু থেকেই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। এদিন শুরু থেকেই পাকিস্তান একেবারে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করছিল। দুই ওপেনার সাইম আয়ুব ও সাহিবজাদা ফারহান ১৭.২ ওভার পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। ৫১ বলে ৫৯ রান করে সাইম ফেরেন মানব সুতারের বলে ধ্রুব জুরেলের হাতে ক্যাচ তুলে। পাকিস্তানের প্রথম উইকেট যখন পড়ল তখন স্কোরবোর্ডে ইতিমধ্যে ১২১ রান উঠে গিয়েছে। এরপর ফারহান ৬২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হয়ে যান। এরপর তিনে রানা ওমের ৩৫ বলে ৩৫ রান করে রিয়ান পরাগের বলেই, তাঁর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ওমেরের উইকেট তুলে নেওয়ার পর রিয়ান আবার ঝটকা দেন। পাঁচে আসা কাসিম আক্রমকে প্রথম বলেই আউট করে দেন। 


কলম্বোয় ভারতীয় ফ্যানরা উল্লাস শুরু করে দিয়েছিলেন পরপর উইকেট পড়তে দেখে। ছয়ে ব্যাট করতে এসে ক্যাপ্টেন হ্যারিসও কল্কে করতে পারেননি। তিনি মাত্র ২ রানে নিশান্ত সিন্ধুর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ১৮৭ রানে পাঁচ উইকেট চলে যায় পাকিস্তানের। তখন অধিকাংশ ভারতীয় ফ্যানই ধরে নিয়েছিলেন যে, আর কতই বা রান করতে পারবে পাকিস্তান। কিন্তু একেবারে অন্য পরিকল্পনা নিয়েই ফাইনালে নেমেছিলেন তায়াব তাহির। একাই ম্যাচের রং বদলে দিলেন মিডল অর্ডারের ব্যাটার। ৭১ বলে ঝকঝকে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেই মাঠ ছাড়লেন তিনি। প্রায় ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলেন তিনি। স্কোরবোর্ড নিয়ে গেলেন ৩১৩ রানে। সাতে নামা মুবাসির খান ৪৭ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দিলেন। আটে নামা মেহরান মুমতাজ (১৩) ও নয়ে নামা মহম্মদ ওয়াসিম (১৭) নিজেদের অবদান রাখলেন। পাকিস্তান থামল ৩৫২ রানে। 


৫০ ওভারের ফরম্যাটে ভারত-পাক ফাইনালে সাড়ে তিনশোর উপর রান নিঃসন্দেহে বড় টার্গেট। কিন্তু যশ ধুলরা বিশাল রানের পাহাড়েই চাপা পড়ে গেলেন এদিন। রান তাড়া করতে নেমে যে ব্যাটিংটা করা দরকার ছিল, ভারত সেটাই করতে পারল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। সাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মা ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন। ২৮ বলে ২৯ রান করে ফিরে যান সাই। তিনে নেমে নিকিন জোস ১১ রান করে আউট হন এদিন। ৮০ রানে ভারত হারায় দুই উইকেট। এরপর অভিষেক ফিরে যান ৬১ রানে। অভিষেক ফেরার পড়েই ভারতের বাকি ব্য়াটাররা আয়ারাম গয়ারাম অবতারে ধরা দিতে শুরু করেন। চারে নেমে অধিনায়ক যশ ধুল ৪১ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান। এরপর যাঁরা ব্য়াট করতে এসেছিলেন, তাঁদের কারোর ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি যে, ভারতের জেতার তাগিদ রয়েছে। ধুল ফেরার পর একজন ব্যাটারও ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারলেন না। সুফিয়া মুকিম তুলে নিলেন তিন উইকেট। মেহরান ও ওয়াসিম পেলেন দুই উইকেট করে। স্পিন ও পেসের যুগলবন্দিতে ধুলের ভারতকে ধুলিস্যাৎ করে কাপ জিতে নিল পাকিস্তান। ভারত ৪০ ওভারেই শেষ হয়ে গেল ২২৪ রানে।


আরও পড়ুন: EXPLAINED | ICC: রাজস্বের সিংহভাগই ভারতের পকেটে, দ্বিগুণ পেয়েও কেন কাঁদছে পাকিস্তান?



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)