নিজস্ব প্রতিবেদন:  ক্রিকেটার নাসির জামসেদকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই ঘরোয়া ক্রিকেটের চৌহদ্দিতেও ঘেঁষতে পারবেন না এই পাক ক্রিকেটার। পিপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার কারণেই তাঁকে নির্বাসিত করেছে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার টেস্টেও ওপেন করতে তৈরি রোহিত শর্মা!


শুক্রবার, পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে নাসির জামসেদের নির্বাসনের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। এ দিন পিসিবি-র আইনি উপদেষ্টা জানান, “স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের  জড়িয়েছিলেন এই নাসির জামসেদ। ট্রাইবুনালের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই তিনি। পাকিস্তান বোর্ডের তরফে তাঁকে ১০ বছরের নির্বাসনের সাজা দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট খেলা তো দূর, কোনও রকম ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অনুমতি তাঁকে দেবে না পিসিবি। এবং এর পরও ক্রিকেট অ্যাডমিনিসট্রেশনেও ঠাঁই হবে না তাঁর”। 


"ভারত সবচেয়ে উজ্জ্বল রত্ন হারাল" বাজপেয়ীর মৃত্যুতে বললেন সৌরভ


উল্লেখ্য, গত বছর (২০১৭) সে দেশের সব থেকে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগ-এ স্পট ফিক্সিংয়ে নাম জড়ায় নাসির জামসেদের। আর সেটা পাক ক্রিকেট বোর্ডের নজরে আসতেই তাঁকে প্রাথমিক ভাবে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করে তাঁরা। তবে ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা না করায় নাসিরের ওপর খড়্গহস্ত হয় পিসিবি। এরপর তদন্তে করে জানা যায়, নাসির জামসেদই ছিলেন স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের লিঙ্ক ম্যান। তাঁর হত ধরেই ক্রিকেট কেলেঙ্কারিতে জড়ান আরও দুই পাক ক্রিকেটার শর্জিল খান এবং খালিদ লতিফ। এদের দু জনকে ৫ বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে পিসিবি। একই সঙ্গে আরও দুই পাক অলরাউন্ডার মহম্মদ ইরফান ও মহম্মদ নওয়াজ়কেও ১ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, পাকিস্তানই নয়, ভারতেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে নির্বাসিত হয়েছেন এস শ্রীসন্থের মতো ক্রিকেটার। তবে পাকিস্তান এর আগেও একাধিকবার ক্রিকেট কেলেঙ্কারি-তে জড়িয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে এমনই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ছিলেন পাক তারকা মহম্মদ আমের। যদিও তিনি নির্বাসন কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন এবং নিজের পুরনো গরিমা পুনরাদ্ধারে অনেকটা সফলও হয়েছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের হয়ে ৪৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং দুটি টেস্ট খেলা নাসির জামসেদের ক্ষেত্রে এই আশাটা একেবারেই ক্ষীণ।