গলায় স্বর্ণ পদক, হাতে বাটি, রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করছেন মনমোহন
সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ! একদিকে এশিয়ান গেমসে পদক জয়ীদের বীরের সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে, আর অন্যদিকে না খেতে পেয়ে পথে বসে ৬৯টি পদক জয়ী অ্যাথলিট! কেউ দেখারও নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ! একদিকে এশিয়ান গেমসে পদক জয়ীদের বীরের সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে, আর অন্যদিকে না খেতে পেয়ে পথে বসে ৬৯টি পদক জয়ী অ্যাথলিট! কেউ দেখারও নেই।
আরও পড়ুন- কোহলিও মানুষ, প্রতিবার জেতাতে পারবে না বললেন গাভাসকর
প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি সরকার। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, সরকারি চাকরি মিলবে। বছর ঘুরলেও প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে গিয়েছে। চাকরি না পেয়ে এ বার কার্যত পথে বসতে হল মধ্য প্রদেশের প্যারা অ্যাথলিট মনমোহন সিং লোধিকে। জীবনের এত সাফাল্যেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। গলায় স্বর্ণ পদক আর হাতে বাটি, রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করছেন মধ্যপ্রদেশের সেরা প্যারা-অ্যাথলিট। রবিবার মনমোহনের এই দৈনদশার ছবিই উঠে এল এএনআইয়ের ক্যামেরায়।
মধ্যপ্রদেশের প্যারা অ্যাথলিট মনমোহন সিং লোধি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালনে ব্যর্থ। সে কারণেই ভূপালের রাস্তায় ভিক্ষা করতে হচ্ছে তাঁকে। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এই স্প্রিন্টার বলেন, “আমি এখনও পর্যন্ত চার বার মুখ্যমন্ত্রীর (শিবরাজ সিং চৌহান) সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি প্রতিবারই আমাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অথচ এখনও কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে পারেননি। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীই আমাকে সাহায্য করতে পারছেন না, সেখানে ভিক্ষা করা ছাড়া আমার আর কোনও রাস্তাই নেই”।
উল্লেখ্য, মনমোহন সিং লোধি মধ্যপ্রদেশের নরসিংহ জেলার কেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। ২০০৯ সালে একটি দুর্ঘটনায় একটা হাত নষ্ট হয়ে যায় তাঁর। তবে কখনই নিজের প্যাশন থেকে সরে আসেননি তিনি। জীবনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে দৌঁড়েছেন ট্র্যাকেও। জাতীয় স্তরে ৬৯টি পদকও রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালে আমদাবাদে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় রুপোও জেতেন। এরপর রাজ্যের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয় মনমোহন সিং লোধিকে। একই সঙ্গে তাঁকে দেওয়া হয় সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও। তবে সেই প্রতিশ্রুতিই সার, এখনও চাকরি পাননি মনমোহন। সেই বছরই আবার বিশেষ সক্ষমদের জন্য ৬ হাজার চাকরির ঘোষণাও করেছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেখানেও তাঁর ভাগ্যের শিঁকে ছেড়েনি। বদলে জুটেছে কেবল হতাশা।