নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাস গড়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্যারি সাঁ জাঁ। ইউরোপ সেরার আসরে ১৯৯৫ সালে শেষ চারের লড়াইয়ে এসি মিলানের কাছে হেরেছিল পিএসজি। দীর্ঘ ২৫ বছর পর এবার শেষ চারের বাধা টপকে ফাইনালে ওঠার হাতছানি ছিল নেইমার-এমবাপেদের সামনে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চমক দেওয়া জার্মানির ক্লাব আরবি লাইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে জায়গা করে নিল পিএসজি। তাও আবার ক্লাব প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশতম বর্ষে।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লিসবনে গোটা ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখাল পিএসজি। ইউরোপ সেরার আসরে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি এবং লাইপজিগ। মাত্র ১১ বছর আগে পথ চলা শুরু করে ইউরোপ সেরার আসরে দ্বিতীয়বার খেলতে নেমেই সেমি ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া জার্মান ক্লাবটির বিরুদ্ধে নেইমার-এমবাপে-ডি মারিয়া এই ত্রিফলা আক্রমণে কিস্তিমাত্ করলেন টমাস টুসেল। ১৩ মিনিটেই ডি মারিয়ার ফ্রি কিক থেকে মারকুইনহোসের দুরন্ত হেডে পিএসজি এগিয়ে যায়।  তার আগেই অবশ্য দু দুটো গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার ও এমবাপে। ৩৬ মিনিটে নেইমারের শট পোস্টে লাগে। ৪২ মিনিটে লাইপজিগ ডিফেন্সের ভুলের সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ডি মারিয়া।




প্রথমার্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজি ডিফেন্সে আক্রমণ শানাতে থাকে লাইপজিগ। গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় তারা। পাল্টা আক্রমণ থেকে ৫৬ মিনিটে হুয়ান বার্নেটের গোল লাইপজিগের কফিনে শেষ পেরেকটি যেন পুঁতে দেয়। এরপর স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে। ৩-০ গোলে জিতেই মাঠ ছাড়েন নেইমাররা।


 



পর পর চারবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আর পর পর তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অফ সিক্সটিন থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পিএসজি-কে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ টানা সাত মরশুম এই ছিল প্যারিসের দলটির পরিসংখ্যায়। অবশেষে সেই গাঁট কাটল ২০১৯-২০ মরশুমে। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার টিকিট পেল লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ৪১ তম ক্লাব হিসেবে ইউরোপ সেরার ফাইনালে খেলবে পিএসজি।


 


আরও পড়ুন - ভারতে IPL-এর আয়োজন করুক BCCI, বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন