নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে তখন দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছে। ৫২ মিনিটের মাথায় হঠাত্ দেখা যায়  পুলিসি পোশাকে ৪ ব্যক্তি মাঠের মধ্যে ছুটছেন। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা ফরাসি তারকা এমবাপের সঙ্গে হাতও মেলান। তারপর সোজা ছুটে যান ফ্রান্সের গোল পোস্টের দিকে। ইতিমধ্যেই আরও তিনজন মাঠের এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করে। যদিও এই অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাঠে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা এসে আটক করে ওই চার জনকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- তিনি কাঁদলেন, তিনি কাঁদালেন!


জানা গিয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখাতে গিয়েই এই কাজ করেছেন তাঁরা। পরে তাঁদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পুলিস। আরও জানা গিয়েছে এরা সকলেই ‘পুসি রায়ট’ নামের একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। মস্কোতে বিশ্বকাপ ফাইনাল চলাকালীন মাঠের মধ্যে দৌড়ে গিয়ে খেলা বিঘ্নিত করার অপরাধে আটক করা হয়েছে তাঁদের। এই কর্মকাণ্ডের দায় স্বীকার করে নিয়েছে ‘পুসি রায়ট’।


আরও পড়ুন- ‘ফরাসি বিপ্লবে’ নাচলেন ম্যাক্রোঁ, টুইটে লিখলেন ‘মার্সি’!


সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রাজনৈতিক সংগঠন জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখাতেই মাঠে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে তাঁরা। তবে কোনও খেলোয়াড়কে আক্রমণের প্রয়াস তাঁরা করেনি। তাঁদের দাবি-


*রাজনৈতিক বন্দিদের নিশঃর্ত মুক্তি দিতে হবে 


*প্রতিবাদীদের অবৈধভাবে গ্রেফতার করা চলবে না


*সবার রাজনৈতিক অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে


*রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় বাধা দেওয়া যাবে না


*মিথ্যা মামলা দিয়ে নাগরিকদের জেলবন্দি করা যাবে না


*সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ‘লাইক’ করার জন্য গ্রেফতারি বন্ধ করতে হবে


উল্লেখ্য, ২০১২ সালেও পুতিনের সামনেই এমন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল  ‘পুসি রায়ট’। সে বার মস্কোর ‘ক্রাইস্ট দ্য সেভিওর’ নামে একটি ক্যাথোলিক গির্জায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। ২০১৪ সালে অলিম্পিকেও এমন বিক্ষোভ দেখায় এই রাজনৈতিক সংগঠন। এবার পুতিন বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ হিসেবে বিশ্বকাপকেই বেছে নিলেন তাঁরা।



তবে তাঁদের এই কর্মকাণ্ডের পর প্রশ্ন উঠছে পুলিসি ব্যবস্থা নিয়ে। এত আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পুলিসের পোশাক পরে মাঠে ঢুকে পড়ল আন্দোলনকারীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়ার পুলিস।