অর্কদীপ্ত মুখার্জি- আগামী বছরের জুলাই মাসে শুরু হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক। ব্যাডমিন্টনে ভারতের অন্যতম আশা পি ভি সিন্ধু। এই মুহর্তে তিনি ইংল্যান্ডে গেটোরেড স্পোর্টস সাইন্স ইনস্টিটিউটে ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ইংল্যান্ডে বসেই নিজের প্রস্তুতি থেকে অলিম্পিকে সোনাজয়ের ইচ্ছা নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন জি ২৪ ঘন্টাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশ্ন: টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি কেমন চলছে?
 সিন্ধু: অলিম্পিকের প্রস্তুতি খুবই ভালো চলছে। অলিম্পিকের আগে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট খেলব যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানুয়ারিতে থাইল্যান্ড ওপেনে খেলতে নামব অনেকদিন পর। এই টুর্নামেন্ট খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।



প্রশ্ন: অতীতে রুপো জিতেছেন। দেশ আপনার থেকে সোনার পদক আশা করছে। কিভাবে এই প্রত্যাশার চাপ সামলাচ্ছেন? 
সিন্ধু: এই প্রত্যাশা আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই আশা করছেন যে টোকিও থেকে আমি সোনা জিতব। প্রত্যাশার চাপ থাকবেই কিন্তু আমি নিজের খেলা খেলতে চাই এবং নিজের ১০০ শতাংশ দিতে চাই। যখন কোর্টে নামি তখন অন্য কিছু মাথায় থাকে না। যদি আমি জিতি তাহলে সেটা দেশের জন্য গর্বের হবে।



প্রশ্ন: লকডাউনের পর কোর্টে ফেরা কতটা কঠিন ছিল? 
সিন্ধু: একদম শুরুর দিকে যখন বাড়ি থেকে বেরোনো সম্ভব ছিল না তখন বাড়িতেই ট্রেনিং করতাম। আমার ট্রেনার আমায় ট্রেনিংয়ের সূচী দিয়ে দিত। আমি প্রত্যেকদিন ট্রেনিং করতাম এবং মাত্র ২ সপ্তাহেই আমি আমার স্বাভাবিক ফিটনেস ফিরে পেয়েছিলাম। এরপর নিজের শুরু খেলা করি এবং নিজের স্বাভাবিক স্ট্রোক ও পুরো ফিটনেস পেতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এই মুহুর্তে আমি একদম ফিট এবং নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে আছি। লকডাউনের জন্য খুব বেশী অসুবিধায় পড়তে হয়নি। 



প্রশ্ন: বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড টুরের এশিয়া পর্ব কতটা সাহায্য করতে পারে অলিম্পিকের আগে?
 সিন্ধু:  প্রত্যেক টুর্নামেন্টই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিডব্লিউএফ অবশ্যই অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে। প্রতিটা টুর্নামেন্টই আলাদা এবং আলাদা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে খেলতে হয়। প্রত্যেকের খেলার ধরন আলাদা এবং সেইমতো নিজেকেও অ্যাডজাস্ট করতে হয়। এই খেলাগুলেো খেলে আমি নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারি এবং সেইমতো শুধরেও নিতে পারি।



প্রশ্ন: নাজোমি ওকুহারা ও ক্যারোলিনা মারিনের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিদ্বন্ধীতা নিয়ে কি বলবেন?
 সিন্ধু: দুজনেই অসাধারণ খেলোয়াড় এবং দুজনেরই খেলার ধরণ আলাদা। তাদের বিরুদ্ধে খেলার দিন কে কতটা ভালো খেলল তার উপরেই নির্ভর করে ম্যাচের ফলাফল। ক্যারোলিনা খুবই আক্রমনাত্মক তাই ওর বিরুদ্ধে খেলার ধরন আলাদা অপরদিকে ওকুহারা মূলত ডিফেন্সিভ, লম্বা খেলা চালাতে ভালোবাসে তাই ওর বিরুদ্ধে অন্যরকমভাবে খেলতে হয়। প্রতিদ্বন্ধীতা আছে এবং থাকবেও। খেলার জন্য এটা ভালো কিন্তু কোর্টের বাইরে আমরা ভালো বন্ধু।



প্রশ্ন: ইংল্যান্ডে গেটোরেড স্পোর্টস সাইন্স ইনস্টিটিউটে ট্রেনিং কেমন চলছে? 
সিন্ধু: আমি এখানে এসেছি শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে। আমার মনে হয় এটা সবথেকে ভালো সময় এবং এইজন্যই আমি এখানে এসেছি। আমি এর আগে কখনই খুব বেশী সময় পাইনি। একটা টুর্নামেন্ট খেলে ফেরার পরেই আবার একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে হয়েছে। এই সময়টা আমার জন্য সঠিক সময় ছিল এবং এখানে এসে এই ট্রেনিং আমায় খুবই সাহায্য করছে। 



প্রশ্ন: অলিম্পিকে নিজের জন্য ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য স্থির করেছেন?
 সিন্ধু:  অবশ্যই। আমার নিজের জন্য বর্তমানে কিছু লক্ষ্য আছে যেমন থাইল্যান্ডে আসন্ন টুর্নামেন্টে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়া কিন্তু পাখির চোখ অবশ্যই অলিম্পিকের সোনার পদক। আমি জানি এটা সহজ হবে না তবে আমি দেশের জন্য পদক আনতে চেষ্টা ও পরিশ্রমের অভাব রাখব না।