Ranji Trophy: দুরন্ত নীলকণ্ঠ, চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে জিতে হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া বাংলা
বাংলার লক্ষ্য তিনে তিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বরোদা ও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতে 'দুইয়ে দুই' করা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। এ বার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল চণ্ডীগড়কে হারিয়ে 'তিনে তিন' করতে মরিয়া বঙ্গব্রিগেড। আর তৃতীয় দিনের শেষে বিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসের দুই উইকেট ফেলে দিয়ে সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে অভিমন্যু ঈশ্বরণের দল। ৪১৩ রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে চণ্ডীগড়। বিপক্ষের ব্যাটিংয়ের যা অবস্থা তাতে শেষ দিন ৩৯৯ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া কার্যত অসম্ভব। বরং ফর্মে থাকা বাংলার বোলারদের বাকি আট উইকেট তুলে নেওয়া অনেক সহজ। গত দুই ম্যাচের মতো এ বারও শেষ দিন চাপ বজায় রাখতে পারলে চলতি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার জয়ের হ্যাটট্রিক করা সময়ের অপেক্ষা।
প্রথম ইনিংসে ৪৩৭ রান তুলে দিয়ে বড় রানের লিড নিতে চেয়েছিল বাংলা। অবশেষে সেটাই হল। দ্বিতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড় ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলেছিল। ম্যাচের তৃতীয় দিন বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ২০৬ রানে শেষ হয়ে যায় বিপক্ষের প্রথম ইনিংস। ফলে ২৩১ রানে এগিয়ে থাকে অভিমন্যু ঈশ্বরণের বঙ্গব্রিগেড। তবে বড় লিড হাতে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে পড়ে বাংলা। ৮ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় অরুণ লালের ছেলেরা। তাই চণ্ডীগড়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৪১২ রান।
দলের কাছে জয়ের হ্যাটট্রিকের হাতছানি রয়েছে। তবে মাথাঠাণ্ডা রেখে ফের একবার শেষ দিন লড়াই করতে হবে। সতীর্থদের উদ্দেশে সেই বার্তা দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনি বলেন, "আমরা ভাল পারফরম্যান্স করছি। তবে সেরা পারফরম্যান্স এখনও বাকি রয়েছে। আমাদের স্কোরবোর্ডে বড় রান রয়েছে। তবে শেষ দিন বাকি আট উইকেট তুলতে গেলে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। কারণ উইকেট ক্রমশ স্লো হয়ে আসছে। তাই কাজটা কঠিন। কিন্তু বোলাররা গত দুই ম্যাচের মতো নিজেদের মেলে ধরতে পারলে আমাদের জয়ের হ্যাটট্রিক করা অসম্ভব নয়।"
প্রথম ইনিংসে বিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ভাঙন ধরান নীলকণ্ঠ দাস। তিনি ৪৭ রানে ৩ উইকেট নেন। শায়ন শেখর মন্ডল ১০ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ঈশান পোড়েল ও মুকেশ কুমার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা খায় বাংলা। অনুষ্টুপ ৪৩ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে অভিষেক পোড়েল ও শাহবাজ আহেমদ করেন ৩২ রান। তাই ৮ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য বাংলা শিবিরের মুখে হাসি এনে দিয়েছে। কারণ বিপক্ষের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ফের একবার সাজঘরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন মুকেশ ও ঈশান। ফলে ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে চণ্ডীগড়।