Ranji Trophy: দুরন্ত বোলিং, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে নক আউটে লড়াকু বাংলা
অন্য বাংলা। লড়াকু বাংলা।
সব্যসাচী বাগচী: বরোদার পর এ বার হায়দরাবাদ। বাইশ গজের যুদ্ধে পরপর দুটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নক আউটে চলে গেল বঙ্গব্রিগেড। ২৩৯ রান তাড়া করতে নেমে তিন পেসার ও শাহবাজ আহমেদের স্পিনের উপর ভর করে ৭২ রানে জয় পেল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। বিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসকে ১৬৬ রানে শেষ করে নক আউটে চলে গেল বঙ্গব্রিগেড। ব্যাটের পর এ বার বল হাতেও বিপক্ষকে উড়িয়ে দিলেন 'ক্রাইসিস ম্যান' শাহবাজ আহমেদ। তবে আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমারের লড়াইকেও কুর্নিশ জানাতেই হবে। কারণ বিপক্ষ শিবিরে হামলা তো এই দুই জোরে বোলারই করেছিল।
হনুমা বিহারী ছাড়া হায়দরাবাদের ব্যাটিংয়ের হতদরিদ্র অবস্থা। তবুও চাপ তো ছিলই। কারণ, প্রথম ইনিংসে রবি তেজা ও তনয় ত্যাগরাজন অষ্টম উইকেটে ১০৯ রান যোগ করে বঙ্গশিবিরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মনোজ তিওয়ারি-অনুষ্টুপ মজুমদার বিরক্তিকর ব্যাটিং। চাপে চুপসে যাওয়া ও মোক্ষম সময় উইকেট ছুড়ে আসার নিদর্শন এখনও বজায় রয়েছে। তাই চিন্তা বাড়ছে টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে সেই সব চিন্তাকে ফের একবার গঙ্গার জলে ফেলে দিল দলের লড়াকু বোলিং লাইনআপ। আর বোলারদের সৌজন্যে এল ফের একটা রুদ্ধশ্বাস জয়। আকাশ ৪১ রানে ৪ ও শাহবাজ ৪১ রানে ৩ উইকেট নিলেন। মুকেশ পেলেন ৪৯ রানে ২ উইকেট। ২০ রানে ১ উইকেট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ইশান পোড়েল।
তৃতীয়দিনের শেষে বিপক্ষের ১৬ রানে ৩ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর দলের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। শেষদিনের সকালে সেই আগ্রাসন নিয়ে শুরুটা করলেন আকাশ দীপ। দিনের প্রথম বলেই দলকে সাফল্য এনে দেন এই ডানহাতি পেসার। হায়দরাবাদ তখন ১৬ রানে ৪।
প্রবল চাপে থাকলেও হায়দরাবাদ পালটা লড়াই শুরু করে। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রান যোগ করেন তিলক ভার্মা ও প্রতীক রেড্ডি। বিপক্ষের এই জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই প্রতীকের স্টাম্প উপড়ে দেন শাহবাজ। বিপক্ষ তখন ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে!
কিন্তু দুই পক্ষই জমি ছাড়তে নারাজ। ফর্মে থাকা তিলক এ বার জুটি বাধলেন বুদ্ধি রাহুলের সঙ্গে। বঙ্গ বোলিংয়ের ঝড় সামলে ষষ্ঠ উইকেটে উঠে গেল ২৭ রান। ঠিক সেই সময় আবার বিপক্ষ শিবিরকে আগুনে পেসে আহত করলেন আকাশ। অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরলেন বুদ্ধি। বিপক্ষের ৮৫ রানে ৬ উইকেট ফেলে দিয়ে বাংলা তখন একেবারে ফুটছে।
৮৫ রানে ৬ উইকেট চলে গেলেও হাল ছাড়েননি তিলক। এ বার প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে অপরাজিত থাকা রবি তেজাকে নিয়ে ফের লড়াই শুরু করলেন। সপ্তম উইকেটে জুড়ে গেল ৪৯ রান। বাংলা ড্রেসিংরুমের যখন চাপ যখন বাড়ছে, ঠিক তখন বল হাতে জ্বলে উঠলেন 'ক্রাইসিস ম্যান' শাহবাজ। বল হাতে নিয়েই ফর্মে থাকা রবি তেজা ও তনয় ত্যাগরাজনকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
ব্যস খেল খতম। ১৬৬ রানে গুটিয়ে হায়দরাবাদ। জলে গেল তিলকের ৯০ রানে লড়াকু ইনিংস। কারণ বঙ্গব্রিগেডের লড়াইয়ের সঙ্গে যে আগ্রাসী মনোভাব ও জয়ের তাগিদ অনেক বেশি ছিল। তাই তো দুটি ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। কারণ এই বাংলা যে লড়তে জানে। পালটা মারতে জানে।
আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: ঋদ্ধিকে বিচার দিতে BCCI-এর কমিটি গঠন, 'ঘরের ছেলে'কে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ও নীরব সিএবি
আরও পড়ুন: INDvsSL: খেলার মাঝে মাথায় চোট, হাসপাতালে কেমন আছেন Ishan Kishan?