সব্যসাচী বাগচী 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাতীয় দলে থাকলেও তাঁকে বসে থাকতে হচ্ছিল। স্পিন পিচে অস্ট্রেলিয়াকে (Australia) বধ করতে বদ্ধপরিকর রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাই ইচ্ছা থাকলেও জয়দেব উনাদকাটকে (Jaydev Unadkat) খেলাতে পারছিল না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এদিকে প্রিয় সৌরাষ্ট্র (Saurashtra) রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে (Ranji Trophy Final 2023) পৌঁছে গিয়েছিল। সেইজন্য হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ও জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতা চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 


বুধবার সকালে ইডেনে অনুশীলনের পর এসেছিল সাংবাদিক বৈঠকে। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন তিনি রঞ্জি ফাইনালকে বেছে নিলেন? হাসিমুখে বলছিলেন, "আমি নিজেই খেলতে চেয়েছিলাম। সেটা নিয়ে রাহুল দ্রাবিড় ও জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ব্যস তারপর এখানে চলে আসা। কারণ আমি যেখানেই থাকি, আমার মন সবসময় সৌরাষ্ট্রের দিকেই পড়ে থাকে।" যদিও পালটা প্রশ্ন করা হয়, "ভারতীয় দলে থাকাও একটা সম্মানের।" উনাদকাটের স্পষ্ট জবাব, "জাতীয় দলে খেলাটা গর্বের। বসে থাকার নয়। বসে থাকার চেয়ে খেলা অনেক ভালো। রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলাও অনেক সম্মানের। তাই ট্রফি জিতে আবার জাতীয় দলে ফিরতে চাই।"  


জয়দেব চলতি মরসুমে বেশি ম্যাচ তাঁর রাজ্য দলের হয়ে খেলেননি। কিন্তু টিমের বাকি অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা দায়িত্ব নিচ্ছেন। গত সাত-আট বছরে বিভিন্ন ফর্ম‌্যাট মিলিয়ে ছ’সাতটা ফাইনাল খেলেছে সৌরাষ্ট্র। তাই বড় ম‌্যাচের উত্তেজনা শেল্ডন জ্যাকশন-অর্পিত ভাসাবাদারা উপভোগই করছেন। শুধু ঘরের মাঠ রাজকোট নয়, দেশের অন্য ভেন্যুতে সফল ২০১৯-২০ মরসুমের রঞ্জিজয়ী দল। সেটা মনে করিয়ে দিয়ে জয়দেব ফের যোগ করেন, "গত কয়েকটা মরসুম ধরে আমরা যে ভালো পারফর্ম করছি, সেটা শুধুমাত্র রাজকোট পিচে খেলে আসেনি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন পিচে খেলে আমরা সেটা করেছি। আমার তো মনে হয় না, অ‌্যাওয়ে ম‌্যাচে সৌরাষ্ট্রের চেয়ে বেটার রেকর্ড কারও আর আছে বলে। যা বোঝায়, আমরা যে কোনও পিচে ভালো দল। পরিবেশ যা-ই হোক, দু’টো টিমের জন‌্য একই থাকে। রাজকোটে তিন বছর আগে তাই ছিল। এবারও ইডেনে তাই থাকবে।" 


আরও পড়ুন: Manoj Tiwary, BEN vs SAU: ১০ হাজার রানের মাইলস্টোন নয়, 'রুথলেস ক্রিকেট'ই মনোজদের অস্ত্র


আরও পড়ুন: Ranji Trophy Semi Final 2023, BEN vs MP: মধ্যপ্রদেশের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে ৩০৬ রানে জিতে মেগা ফাইনালে মনোজ তিওয়ারির বাংলা



তাঁর অন্য দুই সতীর্থ চেতেশ্বর পূজারা ও রবীন্দ্র জাদেজা বেশির ভাগ সময় ভারতীয় দলেই কাটিয়ে দেন। এরমধ্যে ওঁদের প্রিয় চিন্টু আবার ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শততম টেস্ট খেলতে নামছেন। প্রিয় বন্ধুর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাচ্ছেন জয়দেব। তিনি ফের বলেন, "১০০ টেস্ট খেলা অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট। জাড্ডুও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। দু'জন আমাদের আইকন। তাই এবার রঞ্জি জিতে চেতেশ্বর পূজারার হাতে তুলে দিতে চাই। ওকেই উৎসর্গ করতে চাই এবারের ট্রফি।" 


জয়দেবের চোখ-মুখ দেখেই মনে হচ্ছিল, এবারের ফাইনালটাও জিততে মরিয়া হয়ে আছেন। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপর শুরু হবে ভারতসেরা হওয়ার লড়াই। বাইশ গজের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে দুই দল। ইডেন গার্ডেন্সও তৈরি। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)