নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার রাতে ক্রিকেটের নন্দনকানন দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানাল বছর কুড়ির এক আফগান তরুণকে। রশিদ খান আরমান যেন 'হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা'। সন্ধের 'কে-কে-আর -- কে-কে-আর' ধ্বনি শেষ রাতে সকলকে ছাপিয়ে গ্যালারিতে বদলে গেল 'র-শি-দ--র-শি-দ' ধ্বনিতে। মাঝে মধ্যেই ইডেনের হাইভোল্টেজ সাউন্ড সিস্টেমে বেজে উঠছিল... 'আফগান জালেবি, মাশুক ফরেবি, ঘায়েল হ্যায় তেরা দিওয়ানা, ভাই ওয়াহ- ভাই ওয়াহ..'। তখন ইডেনের সবুজ গালিচায় আফগান কাব্য লিখে ফেলেছেন হায়দারাবাদের 'গুগলি স্পিনার' রশিদ 'ভাই'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ইডেনে আফগান জলেবির প্যাঁচে আটকে গেল কলকাতা, ফাইনালে হায়দরাবাদ


প্রথমে ব্যাট হাতে ১০ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিলেন ৩টি উইকেট। সঙ্গে ২টি ক্যাচ আর একটি রান আউটে অবদান রাখলেন রশিদ। এবারের আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল করার পর শুক্রবার এক অন্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে গেলেন রশিদ খান। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উত্সর্গ করলেন জালালাবাদে বিস্ফোরণে নিহতদের।



দিন কয়েক আগে আফগানিস্তানের জালালাবাদে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। সেই বিস্ফোরণে প্রয়াতদেরই পুরস্কার উত্সর্গ করে রশিদ বলেন, "আমার এই পুরস্কার ওদের জন্য। ওদের পরিবারের জন্য।"


আরও পড়ুন- রশিদকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন শচীন তেণ্ডুলকর


আফগানিস্তানের ছোট্ট প্রদেশ নানগারহার থেকে গুলির আওয়াজ আর বারুদের গন্ধে শুঁকে,পাথুরে জমিতে বল ছুঁড়ে বেড়ে ওঠা এক তরুণ ভেল্কি দেখাচ্ছেন বাইশ গজে। আইপিএলের মঞ্চে যেন নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেছেন তিনি। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে 'গুলি'র বদলে 'গুগলি'ই রশিদের সেরা অস্ত্র।