বাবার মৃত্যু, পেশাদারিত্বের চরম নিদর্শন রেখে ক্রিকেট খেলবেন রশিদ
বিগ ব্যাশে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারসের হয়ে বছরের শেষ রাতে মাঠে নামবেন রশিদ। খেলবেন সিডনি থান্ডারের বিরুদ্ধে। রশিদের খেলার কথা জানিয়েছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পেশাদারিত্ব কাকে বলে? রোজকার লড়াই। ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে গন্তব্যে পৌঁছনো। তারপর ধাক্কাধাক্কি করে বাসে পা রাখার মতো জায়গা আদায় করে নেওয়া। তারপর একেবারে ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় চেক ইন-এ আঙুল ছুঁইয়ে ৮ ঘণ্টা ৯ ঘণ্টার শিফট। বা তারও বেশি। তারপর আবার বাড়ি ফেরা। পরদিন আবার একই রুটিন। কর্পোরেট হোক বা অন্যকোনও চাকরি- একই রকম লাইফস্টাইল দিয়েই দৌড়চ্ছে সিংহভাগ মানুষ। তবে কোনও কিছু হারানোর যন্ত্রণা নিয়েও কর্মে অবিচল থাকা? সেটা কীভাবে দেখবেন? শুধুই পেশাদারিত্ব, না কি তার থেকেও বেশি কিছু?
আরও পড়ুন- সিডনি টেস্টের আগে ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে, দেশে ফিরলেন 'বাবা' রোহিত শর্মা
বাবার মৃত্যুর পর ওয়ার্ল্ড কাপ খেলেছিলেন সচিন। শতরান করে আকাশে ব্যাট তুলে সেই শতরান বাবাকে উত্সর্গ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। আমরা সবাই সেকথা জানি। এবার আমাদের সামনে আরও এক পেশাদারিত্বের নজির গড়লেন কাবুলের সন্তান রশিদ খান। ৩০ ডিসেম্বর রাতে বাবা মারা গিয়েছে। ছেলে দেশে ফিরল না। বিগ ব্যাশে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারসের হয়ে বছরের শেষ রাতে মাঠে নামবেন রশিদ। খেলবেন সিডনি থান্ডারের বিরুদ্ধে। রশিদের খেলার কথা জানিয়েছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারস।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে বিয়ার পান করে বিতর্কে রবি শাস্ত্রী, ট্রোলড হলেন বিরাটদের হেডস্যার
আর বাবার মৃত্যুর খবর নিজেই জানিয়েছেন রশিদ। টুইটারে বাবার একটি ছবি পোস্ট করে শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। রশিদ লিখেছেন, “আমার জীবনের সবথেকে মূল্যবান মানুষটিকে হারালাম। বাবা, জীবনের সবথেকে দীপ্তময় প্রদীপ নিভে গেল। আমি এখন বুঝতে পারছি, কেন আমাকে মন শক্ত করতে বলতে। তোমাকে হারানোর কষ্ট আমাকে সহ্য করতে হবে। আমার দোয়ায় সব সময় তুমি থাকবে। আমি তোমাকে মিস করব।”