জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিরাশির বিশ্বকাপ জয়ী ও টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের একাধিক গরমাগরম ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার মধ্যে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় ছিল দেশের এক নম্বর পেসার জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) প্রত্যাবর্তন। গতবছর সেপ্টেম্বরের পর থেকে বুমরা আর মাঠে নামেননি। চোট-আঘাত ও অস্ত্রোপচার। এসবই তাঁকে দল থেকে রেখেছে অনেক দূরে। ২৯ বছরের আহমেদাবাদের জোরে বোলার টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেননি, (T20 World Cup), আইপিএলে (IPL 2023) দেখা যায়নি তাঁকে। সদ্যসমাপ্ত আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও (WTC Final 2023) খেলেননি বুমরা। এবার বুমরার প্রত্যাবর্তন নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন তাঁর প্রাক্তন গুরু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাস্ত্রী বলছেন, 'দেখুন বুমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। কিন্তু বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে যদি ওকে দ্রুততায় ফেরানো হয়, তাহলে কিন্তু ফের চার মাসের জন্য ওকে হারাতে হতে পারে। অনেকটা পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদির মতো। একটা সূক্ষ লাইন রয়েছে। সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।' শাস্ত্রী কথা বলেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়ার টেস্ট কেরিয়ার নিয়েও। শাস্ত্রী বলছেন, 'দেখুন পরিষ্কার ভাবে এটা বলে দিতে চাই, হার্দিকের শরীর টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না। বিশ্বকাপের পর হার্দিককে সাদা বলের ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন করে দেওয়া হোক। তবে রোহিতেরই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না। '


আরও পড়ুন: Virat Kohli, Rohit Sharma, Asian Games 2023: বিশ্বকাপের বছরে বিরাট-রোহিত-হরমনরা কি এশিয়ান গেমস খেলবেন? আলোচনা তুঙ্গে


সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষতকারে বলেছেন যে, দলে কেউ বন্ধু নয়। তিনি বলেছেন, 'আসলে এই যুগে সবাই সহকর্মী। একটা সময় ছিল, যখন সতীর্থরা বন্ধু ছিল। এভাবেই ক্রিকেট খেলা হত। এখন সবাই  সহকর্মী। একটি বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এখানে সবাই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ডানে-বামে বসা সকলের থেকেই এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ। আমি বিশ্বাস করি, ভাগ করে নিলেই ক্রিকেট আরও ভালো হয়। যখন কেউ অন্য় ব্যক্তির টেকনিক ও তার যাত্রা বুঝতে পারে, তখন আরও ভালো হয়। তবে যতটা হওয়ার কথা ছিল তার ধারে কাছে ঘটে না। এখানে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসে না। একটা বিচ্ছিন্ন যাত্রা। তবে চাইলেই যে কোনও পেশাদারের কাছে  যাওয়া যায়, কিছু কোচের সঙ্গে কথা বলা যায়, টাকা দিলেই যাওয়া যায়। প্রস্তুতি সারা যায়। তাদের খাওয়ানো যায়। এসবই। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমরা ভুলে যাই যে, ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে নিজেকে শিখতে হয়।'  অশ্বিনের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে শাস্ত্রীর সংযোজন, 'আমার জন্য সবসময় দলের প্লেয়াররা কলিগই ছিল। তবে তাদের মধ্যে থেকেই একেবারে বন্ধু হয়ে যায় কয়েকজন। আমাকে বলুন তো কাছের বন্ধু ক'জন হয়! আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে বলব চার থেকে পাঁচ। আমি পাঁচজন কাছের বন্ধুকে নিয়ে জীবনে খুশি। আমি এর চেয়ে বেশি চাইও না।' তবে এখন সকলের একটাই প্রশ্ন, বুমরা কবে ফিরবেন দলে। এই দিকেই তাকিয়ে ফ্যানরা।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)