Ravichandran Ashwin: `ব্লাইন্ড স্পট` নিয়ে সরব অশ্বিন, নিয়ম বদলের দাবি তুললেন
আইসিসি-র বর্তমান নিয়মে রয়েছে `ব্লাইন্ড স্পট`। বল লেগ স্টাম্পে পড়লে ব্যাটারের কাছে আড়াল হয়ে যায়। সেই কারণেই নাম দেওয়া হয়েছে `ব্লাইন্ড স্পট`। কিন্তু ব্যাটার যদি রিভার্স সুইপ কিংবা সুইচ হিট খেলে, সেক্ষেত্রেও কি `ব্লাইন্ড স্পট` থাকছে? প্রশ্ন তুললেন অশ্বিন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাঠে নেমে শুধু বিপক্ষের ব্যাটিংকে ধ্বংস করেই তিনি ক্ষান্ত থাকেন না। ক্রিকেটের বিবর্তন কী ভাবে ঘটানো যায় সেটা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। এ বার টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অভিজ্ঞ অফ স্পিনার আরও একটি নিয়মে বদলের দাবি তুললেন। অশ্বিন প্রশ্ন তুলেছেন 'ব্লাইন্ড স্পট' নিয়ে।
ব্যাটাররা প্রায় রিভার্স সুইপ করেন। কিন্তু বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়লে গতিপথ উইকেটের দিকে থাকলেও আউট দেওয়া হয় না। রিভার্স সুইপ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই অশ্বিনের। তবে রিভার্স সুইপের ক্ষেত্রে বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়লেও আউট কেন দেওয়া হবে না! এমনটাই দাবি তুলেছেন অশ্বিন।
এই প্রসঙ্গে তিনি জো রুট (Joe Root) এবং জনি বেয়ারস্টোর (Jonny Bairstow) উদাহরণ দিয়েছেন। গত এজবাস্টন টেস্টে একাধিক বার রিভার্স সুইপ করেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, 'এই ম্যাচে রুট অন্তত ১০ বার পুরোপুরি স্টান্স বদলে রিভার্স সুইপ চেষ্টা করেছে। ১০ বারের মধ্যে ৯ বারই বলে ব্যাট লাগাতে পারেনি। এবং দশম বার বল ব্যাটের নিচে লেগে বেরিয়ে যায়। বেয়ারস্টো বারবার রিভার্স সুইপে ব্যর্থ হয়ে প্যাড দিয়ে বল আটকাচ্ছিল।'
আইসিসি-র (ICC) বর্তমান নিয়মে রয়েছে 'ব্লাইন্ড স্পট'। বল লেগ স্টাম্পে পড়লে ব্যাটারের কাছে আড়াল হয়ে যায়। সেই কারণেই নাম দেওয়া হয়েছে 'ব্লাইন্ড স্পট'। কিন্তু ব্যাটার যদি রিভার্স সুইপ কিংবা সুইচ হিট খেলে, সেক্ষেত্রেও কি 'ব্লাইন্ড স্পট' থাকছে? প্রশ্ন তুললেন অশ্বিন।
অশ্বিন ফের বলছেন, 'কোনওভাবেই এই সময় ব্লাইন্ড স্পট বলা যায় না। কারণ ডান হাতি ব্যাটার রিভার্স সুইপ কিংবা সুইচ হিট খেলার সময়, বল লেগ স্টাম্পে পড়লেও সেটি অফ স্টাম্পের পজিশনেই থাকে। কারণ, সে অরিজিনাল স্টান্স থেকে সরে যাচ্ছে।' ব্যাপারটা আরও বিস্তারিত বোঝাতে গিয়ে তিনি রবীন্দ্র জাদেজার উদাহরণ দিয়েছেন। অশ্বিন বলেন, 'এখানেই আমার মত ভিন্ন। বাঁ হাতি স্পিনার ওভার দ্য উইকেট বোলিং করছে। লেগ সাইডে ফিল্ডার রেখে সে আগেই জানিয়ে দিচ্ছে, তার বোলিং লাইন কী হতে চলেছে। ডান হাতি ব্যাটারের মতো খেললে সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ যদি রিভার্স সুইপ বা সুইচ হিট খেলে, সে তো বাঁ হাতি ব্যাটারের স্টান্সে চলে যাচ্ছে। রুট এমনটা করলেও আউট হচ্ছে না, কারণ সেই ব্লাইন্ড স্পট। আমার মতে, সে যদি ডান হাতি স্টান্সেই খেলে সেক্ষেত্রে ব্লাইন্ড স্পট বলাই যায়। রিভার্স সুইপ খেললে সেটা আর ব্লাইন্ড স্পট থাকছে না।'
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে অশ্বিন ফের যোগ করেন, 'ব্যাটার রিভার্স সুইপ খেলতে পারছে কী না, সেটা নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। নেগেটিভ বোলিংয়ের পরিকল্পনা (লাগাতার লেগ স্টাম্পের বাইরে বোলিং) হোক বা না হোক। আমার পয়েন্ট এলবিডব্লিউ। ব্যাটার ঘুরে দাঁড়িয়ে খেললেও সেটা কেন এলবিডব্লিউ হবে না? সব ফরম্যাটেই যদি এক্ষেত্রে লেগ বিফোর দেওয়ার নিয়ম করা হয়, তাহলে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য বাড়বে বলেই মনে করি।'
মানকাডিং নিয়ে একটা সময় ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের’ প্রশ্ন তোলা হত। আইপিএল-এর মঞ্চে জস বাটলারকে (মানকাডিং করেছিলেন অশ্বিন) করার জন্য তাঁকে প্রচুর সমালোচনা হজম করতে হয়েছিল। হাতে গোনা কয়েকজন অশ্বিনের পক্ষে বলেছিলেন। নন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার যদি বল ডেলিভারি হওয়ার আগে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে তাঁর স্পোর্টসম্যান স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না কেন! আইসিসি ও এমসিসি (MCC) অবশ্য নিয়ম পরিবর্তনে বাধ্য হয়। মানকাডিংকে রান আউটের নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে। এ বার অশ্বিন নতুন দাবি তুললেন। তাঁর সেই দাবি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা মেনে নেয় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: ENG vs IND: ইংরেজদের ট্রোল করে শিরোনামে জসপ্রীত বুমরার স্ত্রী সঞ্জনা, ভিডিয়ো ভাইরাল
আরও পড়ুন: Mahendra Singh Dhoni: লন্ডনের রাস্তায় 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর সঙ্গে একফ্রেমে পন্থ, পার্থিব