বলে বলে বার্সার ৪ গোল, সুয়ারেজ-নেইমারের দাপটে `রিয়েল হারে`র সাক্ষী রোনাল্ডোরা
মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতল বার্সেলোনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়েল মাদ্রিদকে চার শূন্য গোলে হারালেন মেসিরা। মেগা ম্যাচে জোড়া গোল সুয়ারেজের। অপর গোল দুটি নেইমার আর ইনিয়েস্তার। কামব্যাক ম্যাচে গোল না পেলেও নজর কাড়লেন মেসি।
ওয়েব ডেস্ক: মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতল বার্সেলোনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়েল মাদ্রিদকে চার শূন্য গোলে হারালেন মেসিরা। মেগা ম্যাচে জোড়া গোল সুয়ারেজের। অপর গোল দুটি নেইমার আর ইনিয়েস্তার। কামব্যাক ম্যাচে গোল না পেলেও নজর কাড়লেন মেসি।
বার্নাবিউতে স্বপ্নের ফুটবল বার্সেলোনার। সুয়ারেজ-নেইমারের দাপটে রিয়াল মাদ্রিদকে গুঁড়িয়ে দিয়ে মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতল স্পানিশ চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে লজ্জার হারের সাক্ষী থাকতে হল রোনাল্ডোদের। চার-শূন্য গোলে এল ক্লাসিকো জিতে লিগ তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রাখল লুই এনরিকের দল। মেসিকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেই মেগা ম্যাচে দল সাজিয়েছিলেন বার্সা কোচ। মনে করা হয়েছিল মেসির অনুপস্থিতি কাজে লাগাতে শুরু থেকে অল আউট যাবে রিয়াল। কিন্তু আদতে হল তার উল্টোটা। ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বার্সেলোনা। এগারো মিনিটে সুয়ারেজের গোলে লিড নিয়ে নেয় বার্সা। তারপর আর থামানো যায়নি এনরিগের দলকে। যত সময় গেছে, ততই ম্যাচে দাপট বাড়িয়েছে স্প্যানিশ জায়েন্টরা। বিরতির আগেই নেইমারের গোলে ব্যবধান বাড়ায় তাঁরা। প্রথমার্ধে ইনজুরি টাইমে মার্সেলো গোললাইন সেভ না করলে রিয়েলের সমস্যা আরও বাড়তো। ৫৩ মিনিটে ইনিয়েস্তার দুরন্ত গোল বার্সার জয় কার্যত নিশ্চিত করে দেয়। শুধু গোল করাই নয়, গোটা ম্যাচে বার্সা মাঝ মাঠে কার্যত ফুল ফোটান এই মিড ফিল্ড জেনারেল। ৫৭ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন লিও মেসি। সুয়ারেজের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মেসি ম্যাজিক। উল্টো দিকে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ফিয়ার সেভেন। শেষ পর্যন্ত একরাশ লজ্জা নিয়েই এল ক্লাসিকোয় মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে। ১৯৭৪ পর মাদ্রিদের মাটিতে এল ক্লাসিকোয় এটাই বার্সার সব চেয়ে বড় জয়।