নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালের পর কার্যত স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন বাইশ গজ থেকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠে। নির্বাচকরা পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিয়েছেন অতীত নয়,জাতীয় দলে ফিরতে হলে বর্তমান পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই অবস্থায় আইপিএল ছিল ধোনির কাছে জাতীয় দলে ফেরার একমাত্র হাতিয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কিন্তু  করোনাতে আক্রান্ত আইপিএল। আদৌ চলতি বছরে আইপিএল হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে । তাই জাতীয় দলে ধোনির ফেরার লড়াই ক্রমশ আবছা হয়ে আসছে। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরতে মরিয়া প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাই লড়াইয়ের রাস্তা নিজেই তৈরি করে নিলেন। ১৩বছর পর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।


 


যদি মুস্তাক আলি ট্রফিতে ধোনি খেলেন তাহলে তের বছর পর এই টুর্নামেন্ট খেলতে নামবেন ধোনি। শেষ খেলেছিলেন ২০০৭ সালে। রান করেছিলেন ১২৩। গড় ছিল ৬১.৫০ । ধোনি তাঁর ইচ্ছার কথা ইতিমধ্যেই ঝাড়খন্ড ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েসনকে জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার ব্যাপারে ধোনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বোর্ড আইপিএল নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার পর।



ঝাড়খন্ড ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েসনের এক কর্তা জানান, "ধোনি নিয়মিত ঝাড়খন্ড ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েসনের মাঠে অনুশীলন করছেন। আগেই রাজ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ধোনিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ধোনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন এই টুর্নামেন্টটি খেলার জন্য। কারণ রাজ্য ক্রিকেটকে ধোনি কিছু ফিরিয়ে দিতে চায়। তবে তাড়াহুড়োর কিছু নেই । লকডাউন ওঠার পর ধোনি এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।"


 


এক বছরের বেশি সময়  জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওঠে নি ধোনির। নিজের ব্যাপারে  এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে দীর্ঘ বিরতিতে নিজের অবস্থান নিয়ে কোন বোর্ড কর্তা কিংবা নির্বাচকদের সাথে কথা বলেন নি তিনি। যার ফলে ধোনিকে নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন সবাই। কিন্তু বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পর ধোনির আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ধোনি ।



আরও পড়ুন - দেশের জন্য নয়, ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের জন্য খেলত; বিস্ফোরক ইনজামাম উল হক