নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রফেসর সঞ্জয় মিত্তল হয়ে যেতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটের 'প্রফেসর শঙ্কু'। দ্য ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি-র অধ্যাপক সঞ্জয় মিত্তল গত কয়েক বছর ধরে রিভার্স সুইংয়ের মূল কারণ খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন। দুই ছাত্র রবি শাক্য ও রাহুল দেশপাণ্ডের সহায়তায় তিনি গবেষণা শেষে যা দাবি করলেন তা নিয়ে বিসিসিআইকে নতুন করে ভাবতে বসতে হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ইংল্যান্ডে একদিনের সিরিজ শুরুর আগে বিরাটকে সৌরভের পরামর্শ


ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, মহম্মদ আমের। যেন পরম্পরা মেনে একের পর এক ভয়ঙ্কর পেসারের জন্ম হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। কারণটা কী? ঠিক এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যই গবেষণা শুরু করেছিলেন কানপুর আইআইটির অধ্যাপক। শেষ পর্যন্ত তিনি যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তা হল, মূলত চারটি বিষয়ের উপর একজন ভাল পেসারের সুইং বোলিং নির্ভর করে। বলের গতি, বলের একপাশের এবড়ো খেবড়ো অবস্থা, পিচ ও আবহাওয়া। অতীতের দিকপাল পেসারদের ভিডিও দেখে ও পদার্থবিদ্যার ফর্মূলা মেনে গবেষণা চালিয়েছে সঞ্জয় মিত্তলের নেতৃত্বাধীন দল। 


আরও পড়ুন-  মৃত ‘বন্ধু’কে শতরান উত্সর্গ করলেন রোহিত


বলের সিম অ্যাঙ্গেল ও গতির উপরই রিভার্স সুইয়ের মতো ধারালো অস্ত্রের ধার নির্ভর করে বলে মত দিয়েছেন সঞ্জয় মিত্তল। তাঁর বক্তব্য, ''বলের সিম ২০ ডিগ্রি নিচু করে ধরে ঘন্টায় ৩০-১১৯ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে একজন বোলার বোলিং করলে সেরা সুইং পেতে পারে। ১১৯-১২৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতিতে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে একজন বোলার ভাল লেট সুইং বা রিভার্স সুইং পেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য আবহাওয়া একটা বড় ফ্যাক্টর। সুইং মূলত ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ভাল হয়। গরম আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বলের সুইংয়ের তারতম্য ঘটে। এই জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মিডিয়াম পেসার ইংল্যান্ডের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বোলিং করে বেশি সফল। কলকাতা বা দিল্লির আবহাওয়ায় সৌরভের উইকেট তোলার রেকর্ড কম। অন্যদিকে, ইমরান খানকে দেখুন। লেট সুইংয়ের জন্য ও বিখ্যাত। বলের গতি ও পিচ বুঝে বল করতে পারত ও। তাই ওর ইন-ডিপার ডেলিভারি এথ ভয়ঙ্কর ছিল।''


আরও পড়ুন-  টেনিসের রাজা ক্রিকেটেও এক নম্বর


বিসিসিআই ও ভারতীয় কোচদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করছেন অধ্যাপক সঞ্জয় মিত্তল। তবে গবেষণায় পাওয়া তথ্য সবার আগে বাস্তবে ভারতীয় পেসারদের উপর যাচাই করে দেখতে চান। সেই জন্য নতুন প্রজন্মের এক দল পেসারের উপর সবার আগে নতুন এই তথ্যের প্রয়োগ করে দেখা হবে।