ওয়েব ডেস্ক: অভিনব বিন্দ্রা, দীপা কর্মকার, সানিয়া মির্জা-রোহন বোপ্নানাদের মত ভিনেশ ফোগাতকেও তাড়া করল দুর্ভাগ্য। দারুণ খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা এই মহিলা কুস্তিগীর ছিটকে গেলেন চোট পেয়ে। ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শুধু চোটের কারণে তাঁকে রিং ছাড়তে হল। মহিলাদের ফ্রিস্টাইল কুস্তির ৪৮ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ চলাকালীন পায়ে চোট পান ফোগাত। চিনের সান ইয়ানানের বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ডে তখন এগিয়ে ফাগত। জিতলেই পদকের একেবারে মুখে। কিন্তু না, এমন চোট পেলেন আর উঠতে পারলেন না। তিনি আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে হয়। ২-১ ফলে এগিয়ে থেকে জয়ী হন ইয়ানান। ফলে আর কী! সেমিতে উঠে গেলেন চিনের খেলোয়াড়। অলিম্পিক পদকের মুখ থেকে ফোগাতকে টেনে নিয়ে গেল চোট। সত্যি ভারতীয় খেলাধুলোয় এই চোটটা বড় ট্র্যাজেডি হয়ে থাকল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্ভাগ্য তাড়া করার সময় ভারতের অন্য এক মহিলা কুস্তিগীরও হেরে গেলেন। মহিলাদের ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তির কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেন সাক্ষী মালিক। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে রাশিয়ার ভ্যালেরিয়া কবলোভার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি সাক্ষী। তিনি ২-৯ ফলে হেরে যান। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মলডোভার মারিয়ানা চেরডিভারা এসানু-কে ৫-৩ ফলে হারিয়ে শেষ আটে ওঠেন সাক্ষী।


অন্যদিকে, কেরিয়ারের সেরা লড়াইয়ের পরও হারতে হল কিদাম্বি শ্রীকান্তকে। অলিম্পিকে পুরুষদের ব্যাডমিন্টনের কোয়ার্টার ফাইনালে তিন নম্বর শাটলার লিন ড্যানের কাছে হেরে বিদায় নিলেন শ্রীকান্ত। তিন সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ড্যানের কাছে ৬-২১, ২১-১১, ১৮-২১ ফলে হারতে হয় শ্রীকান্তকে।


প্রথম গেম বড় ব্যবধানে হারের পর মনে হচ্ছিল সহজেই ম্যাচ হেরে যাবেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে কামব্যাক করে চমক দেন শ্রীকান্ত। তবে নির্ণায়ক গেমে দুটি আনফোর্সড এররের জন্য ম্যাচ হারতে হয় তাঁকে। ২০১৪ সালে চায়না ওপেনের ফাইনালে ড্যানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন শ্রীকান্ত।