ওয়েব ডেস্ক: এবং তিনি। আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন কেন ঘাসের কোর্টে আজও তিনি রাজা। অপ্রতিদন্দ্বী। সেন্টারকোর্টে সিংভাগ দর্শক যখন বিপক্ষের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন, তখনও এই তেত্রিশেয় বিন্দুমাত্র টলল না মনোসংযোগ। কী সহজে বয়সে অনেক ছোট মারেকে উড়িয়ে দিয়ে আরও একবার পৌঁছে গেলেন উইম্বলডন ফাইনালে। তিনি রজার ফেডেরার। রাজকীয় ভঙ্গিমায় সমস্ত ব্রিটিশ দর্প চূর্ণ করে অ্যান্ডি মারেকে পরাজিত করলেন ৭-৫, ৭-৫, ৬-৪-এ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাতটা উইম্বলডন ঝুলিতে। সামনে আটটার হাতছানি। সবাই যখন মোটামুটি ফেড-এক্স যুগের অবিচ্যুয়ারি লিখতে বসেছিল, তখন তিনি প্রমাণ করলেন ফর্ম বিষয়টা গ্রেটদের কাছে সত্যিই টেম্পোরারি। ক্লাস অবিনশ্বর।


চোখের সামনে স্থানীয় আশা মারের সব স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল ফেডেরার র‍্যাকেট। ফেড-এক্সের অভিজ্ঞতা আর প্রতিভার সেই অপ্রতিদন্দ্বী যুগলের সামনে কিছুটা লড়েও দিশাহীন হয়ে পড়লেন মারে। প্রথম দু'সেটে টক্কর দিলেও শেষ সেটে খানিক অসহায় আত্মসম্পর্পণই করলেন।


সেই চেনা বিদ্যুৎ গতির সার্ভ, সেই স্বপ্নের ফোরহ্যান্ড। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবিবারে পুরুষদের উইম্বলডন সিঙ্গলসে জোকারের মুখোমুখি ফেড-এক্স। ফাইনালের ফলাফল যাই হোক না কেন, টেনিসের ওপেন এরায় এরপরে বোধহয় পুরুষদের বিভাগে এই সুইস তারকার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকবে না।


টেনিসের দুনিয়ায় কোনও সাফল্যই আর অধরা নেই তাঁর। নেই আর বোধহয় কিচ্ছু প্রমাণ করারও। তিনি যখন খেলছেন, বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের নাম কখনও পিট সাম্প্রাস, কখনও রাফায়েল নাদাল বা জোকোভিচ এমনকি অ্যান্ডি মারেও। যাঁরা যে কোনও দিন পুরুষদের টেনিসে সর্বকালের সেরার তালিকায় হাসতে হাসতে ঢুকে পড়বেন। এই প্রবল প্রতিযোগীতায় তাঁর দখলে ১৭টি গ্র্যান্ডস্লাম। রবিবার হয় এই সংখ্যাটা এক বাড়বে অথবা একই থাকবে। বদলাবে না তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের তকমাটা। এ খানিক বোধহয় তাঁর নিজের কাছে নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করা। স্ট্রবেরি-ক্রিমের স্বাদে ভরা ঘাসের কোর্টটা তিনি যত দিন চাইবেন, আসলে তাঁরই। রবিবার হয়ত এই প্রত্যয় নিয়েই জোকভিচের মুখোমুখি হবেন এই কিংবদন্তী।