নিজস্ব প্রতিদিন: এভাবে উইকেট দিয়ে আসার কি কোনও প্রয়োজন ছিল? বিশেষ করে যখন আপনি একেবারে সেট হয়ে গিয়েছেন। ৬০ বল খেলে ফেলেছেন। দলের কঠিন পরিস্থিতিতে যখন আপনার সঙ্গে চেতেশ্বর পূজারার একটা যুগলবন্দি তৈরি হচ্ছে। যখন দলের প্রয়োজন একটা বড় জুটির, তখন এত সহজে কীভাবে নিজের মূল্যবান উইকেটটা দিয়ে এলেন আপনি? এই প্রশ্নগুলোই ধেয়ে যাচ্ছে হিটম্যানের দিকে। তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে একেবারে সাধারণ ক্রিকেট ফ্যান, সবার এই একই প্রশ্ন, “দলের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কেন বেপরোয়াভাবে উইকেট দিয়ে এলেন রোহিত শর্মা?”



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারত তখন চার উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কোণঠাসা। অল্পরানেই ফিরেছেন দুই ওপেনার। বিরাট (৩), রাহানে (১৪), দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ব্যাট থেকেও এসেছে মোট ১৭ রান। এমন অবস্থায় ক্রিজে থাকা চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে হাল ধরতে হবে, এই ভাবনা মাথায় রেখেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন রোহিত। সেই মতো চলছিলেনও। ২টো চার ৩টি ছয়ও তখন তাঁর ব্যাট থেকে চলে এসেছে। এমন অবস্থায় রোহিত আরও একটু ধরে খেলবেন, এটাই তো প্রত্যাশিত। তা না করে, রোহিত কি না নাথান লিয়ঁর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে স্টেপ আউট করে ওভার বাউন্ডারি মারতে গেলেন। টাইমিং হল না। তারপর আর কি, অজিদের পরিকল্পনা মতোই ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন রোহিত (৩৭)। আর অন্যদিকে দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে কষ্টার্জিত শতরান আদায় করে নিলেন চেতেশ্বর পূজারা (১২৩)। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটের ওপর ভর করেই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল ভারত (২৫০/৯)।



ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হর্ষ ভোগলে, অজয় মেমনের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত রোহিতের এই হতবুদ্ধির সমালোচনা করছেন। সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার তো রোহিতকে কার্যত তুলোধনাই করে বসলেন। যেখানে এতো প্রতীক্ষা, পরিশ্রম করে দলে জায়গা পেল রোহিত, তারপর কীভাবে সেই সুযোগ নিজে হাতে নষ্ট করল সে, এই প্রশ্নই করছেন  মঞ্জরেকর। এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের সঙ্গে সহমত হয়েছেন অনেকেই। সুযোগ পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করেতে পারলেন না রোহিত, সমালোচনায় মুখর  সোশ্যাল মিডিয়া।