নিজস্ব প্রতিনিধি : এতটা আয় হতে পারে সেটা আয়োজকরা আন্দাজই করতে পারেননি। এমনকী সেই দেশের কর্তা-ব্যক্তিরাও আন্দাজ করতে পারেননি, নেহাত একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় হতে পারে। টুর্নামেন্টের নাম যখন ফুটবল বিশ্বকাপ তখন এমন অনেক কিছুই হতে পারে যা আন্দাজের বাইরে। একটা বিশ্বকাপ আয়োজন করে এমন আয় হয়েছে যে এবার পাঁচ বছরের জন্য দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কোনও চিন্তাই রইল না রাশিয়ার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বাপ কা বেটা! বাবার মতোই দুর্দান্ত গোল করল রোনাল্ডো জুনিয়র


২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশী অর্থ উপার্জন হয়েছে রাশিয়ার। মঙ্গলবার দোহায় টুর্নামেন্টের আয়োজক সংস্থা রাশিয়ার এই বিপুল অঙ্কের অর্থ উপার্জনের কথা জানিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সে দেশের নিজস্ব পণ্য থেকে অর্জিত গড় আয়ের এক শতাংশেরও বেশি। মাত্র একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এই পরিমাণ লাভের মুখ দেখা সত্যিই অবাক করা কাণ্ড বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা। 


রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী এ্যালেক্সি সরকিন বলছিলেন, ''রাশিয়ার আর্থিক, সামাজিক ও পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে বিশ্বকাপ। খেলাটা মাঠে হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার প্রভাব মাটের বাইরেও দেখা দিয়েছে সমানভাবে। বিশ্বকাপ আয়োজনের ফলে সে দেশের পর্যটন শিল্পেও ব্যাপক মুনাফা হয়েছে।'' ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারে একটি ফুটবল কনফারেন্সে সরকিন আরও বলেন, ''এই পরিসংখ্যান ও রিপোর্ট আমাদের কাছেও বিষ্ময়কর। তবে এটা একদিকে ফুটবলের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন। ফুটবল মানুষের জীবনেও প্রভাব ফেলে। এটাই তাঁর প্রমাণ।''


আরও পড়ুন-  অভিষেকেই মেরিনার্সের হয়ে গোল করে বিদ্যুত্ ঝলকানি বোল্টের!


রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওই টুর্নামেন্ট রাশিয়ায় প্রতিবছর কর্মসংস্থান বাড়িয়েছে ৩লাখ ১৫ হাজারের মতো। যার প্রভাব এখনও সেখানকার অর্থনীতিতে পড়ছে। অন্তত আগামী ৫ বছর পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। টুর্নামেন্টের আগে ফুটবল দাঙ্গা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল রাশিয়ায়। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীন তেমন একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি সেখানে।