দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০৫-৫ (রুসো ১০৯, ডি’কক ৬৩)

বাংলাদেশ: ১০১-১০ (লিটন দাস ৩৪, নখিয়া ১০-৪)

দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৪ রানে জয়ী।

 

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শাকিব আল হাসানের দলের খারাপ সময় চলছেই। নেদারল্যান্ডসকে প্রথম ম্যাচে ৯ হারে হারালেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চুপসে গেল বাংলাদেশ। তাঁরা শুধুই কাগুজে বাঘ। ফের প্রমাণ করলেন টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ‘ডাচদের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়ের পর ওপার বাংলায় যে উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছিল, তবে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বিরুদ্ধে কচুকাটা হয়ে গেল পদ্মাপারের দেশ। হবে নাই বা কেন, এ তো শুধু হার নয়। ১০১ রানে অল আউট হয়ে ১০৪ রানে একেবারে দুরমুশ হয়ে যাওয়া যাকে বলে, এটা তাই।

 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এরসঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক যা ফর্ম, তাতে অতি বড় অন্ধভক্তও হয়তো ভাবেননি বাংলাদেশ প্রোটিয়াসদের বেগ দেবে। যদিও শাকিব ম্যাচের আগে দাবি করেছিলেন, ম্যাচের আগে বাংলাদেশের থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার উপরই চাপ বেশি থাকবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল প্রোটিয়াসদের উপর কোনওরকম চাপই তৈরি করতে পারলেন না বাংলার টাইগাররা। তারা হারলেন ১০৪ রানের বিরাট ব্যবধানে।   

 


 




 

বৃহস্পতিবার সিডনিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়াস অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। শুরুটা ভাল হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। বাভুমা নিজে মাত্র ২ রানে আউট হয় প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রথম ওভারেই। কিন্তু তারপরই শুরু হয় ডি’কক এবং রিলে রুসোর সংহার। বাংলাদেশ বোলারদের কার্যত তুড়ি মেরে বাউন্ডারির বাইরে ফেলা শুরু করেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার। ডি’কক মাত্র ৩৮ বলে করেন ৬৩ রান। আর রুসো ৫৬ বলে অনবদ্য ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। চলতি বিশ্বকাপে এটিই প্রথম শতরান। দুই ব্যাটারের দাপটে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষদিকে খানিকটা রান গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেনরা। নাহলে আরও বেশি রান করতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

রানের পাহাড়ের সামনে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার শুরুটা ভালই করেছিলেন। নিজের খেলা প্রথম দু’টি বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু নখিয়া বল করতে এলেই বদলে যায় খেলার রং। একে একে সৌম্য, শান্ত, শাকিব সবাই নখিয়ার গতির সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেন। সেভাবে কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। একমাত্র লিটন দাস খানিকটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। তাও বেশিক্ষণ না। তিনি ৩১ বলে ৩৪ রান করেন। সব মিলিয়ে কোনওক্রমে ১০১ রান তুলল বাংলাদেশ। এই বিরাট ব্যবধানে হারের ফলে নেট রান রেটেও অনেক পিছিয়ে পড়ল বাংলার টাইগাররা।