নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরেন্দ্র সেওয়াগকে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনার বানিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ কথা আজ আর কারওর অজানা নেই। এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও সাত নম্বর থেকে তিনে নিয়ে এসেছিলেন তিনিই। আত্মত্যাগ করেছিলেন নিজের ব্যাটিং অর্ডার। এরপর বাকিটা ইতিহাস! সচিনেরও সচিন হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে এমনই একটা ঘটনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাল ১৯৯৪। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অকল্যান্ড-এ ওয়ানডে ম্যাচ ভারতের। তখন ভারতীয় দলের ম্যানেজার অজিত ওয়াদেকর। আর দলপতি ছিলেন মহম্মদ আজাহারউদ্দিন। সে দিন-ই (২৭ মার্চ, সাল ১৯৯৪) ম্যানেজার অজিত ওয়াদেকরের পরামর্শে প্রথমবার  সচিন তেন্ডুলকরকে ওপেন করতে পাঠিয়ে ছিলেন অধিনায়ক আজহার।


‘মন জিতে এসো’, পাকিস্তান সিরিজের আগে সৌরভকে বলেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী


১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। স্কোর বোর্ডে ওপেনার সচিনের পাশে লেখা ছিল, ৪৯ বলে ৮২ রান। তাঁর ওই ইনিংস সাজানো ছিল ১৫টি চার আর ২টি ছয়ে। তারপর থেকেই ‘লিটল বয়’ সচিনই হয়ে উঠলেন ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার। উল্লেখ্য, জীবনের ১০০টি আন্তর্জাতিক শতরানের মধ্যে ৪৫টি এসেছে ওপেন করেই। যদিও সচিনকে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৭৮টি ম্যাচ পর্যন্ত। জীবনের প্রথম একদিনের ম্যাচে সচিনের রান ছিল শূন্য। বলে রাখি, শূন্য থেকে শুরু করেই সচিন এখন নিজেই এক শৃঙ্গ। 


প্রয়াত ভারতীয় ক্রিকেটের ‘রেনেসাঁ ম্যান’ অজিত ওয়াদেকর


পরবর্তীতে নিজের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’-তে সচিন জানিয়েছেন, “আমার একটা সুযোগের প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমার অধিনায়ক (আজহার) এবং ম্যানেজার ওয়াদেকরের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। ওয়াদেকর স্যারকে বলেছিলাম, আমি ব্যর্থ হলে আর কোনও দিন ওপেন করার কথা বলব না। অনেক আলোচনার পর তাঁরা আমার ওপর ভরসা করেছিল এবং আমাকে সুযোগ দিয়েছিল”।