সৌরভ পাল:  
 
আর ঘণ্টা কয়েক পরেই ভারত মাতবে দেশের ৭১ তম স্বাধীনতা দিবসের সেলিব্রেশনে। ইতিমধ্যেই ভারত সাগর পেরিয়ে সুদূর শ্রীলঙ্কা থেকে বিরাটদের সিরিজ জয়ের খবরও এসে পৌঁছেছে। গোটা দেশ এখন জন্মাষ্টমীতে লাড্ডু বিতরণের সঙ্গেই তৈরি হচ্ছে তেরঙ্গা উৎসবের জন্য। একদিকে বিরাট বিজয়, অন্যদিকে জন্মাষ্টমী, ভারতের এই 'ডবল সেলিব্রেশনে'র দিনে উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। আজ পাক দেশের ৭০তম স্বাধীনতা। আর পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসেই স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটেশ্বর সচিন রমেশ তেন্ডুককর। ক্রিকেটের পাণ্ডুলিপিতে ১০০তম সেঞ্চুরির ইতিহাস রচনা করার প্রথম অধ্যায়টা লেখা হয়েছিল আজকের দিনেই। সাল ১৯৯০, ১৪ অগস্ট। ২৭ বছর আগে আজকের দিনেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টারে জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেছিলেন সচিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এটাই বোধহয় ছিল ক্রিকেটের 'ললাট লিখন', ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির এক বছরের মাথায় ১৯৪৮ সালে এই ১৪ অগস্টই 'ক্রিকেটের ডন' স্যার ব্র্যাডম্যান ব্যাট হাতে দাঁড়িয়েছিলেন শেষবার। জীবনের সব টেস্টে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান সেদিন ওভালের ২২ গজ থেকে ফিরেছিলেন শূণ্য রানে। আর তার ঠিক ৪২ বছর পর ভারতের ৪৪তম স্বাধীনতার প্রাককালে ম্যাঞ্চেস্টারে জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে তেরঙ্গা পতাকাকে আকাশে উড্ডীন করেছিলেন কিংবদন্তী সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। 


আজ থেকে ৭ বছর আগের এই দিনের স্মৃতিকে মনে করেই টুইটে সচিন লিখলেন "ভারতের হয়ে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি  আমার কাছে খুবই স্পেশ্যাল। কিন্তু আমি আরও বিরাট আনন্দ উপভোগ করতে পারতাম যদি আমি টেস্ট ম্যাচটা বাঁচাতে পারতাম"। হ্যাঁ, সচিনের সেদিনের সেঞ্চুরি ভারতের পরাজয়কে কিছুতেই আটকাতে পারেনি, এটা ধ্রুব সত্যি। কিন্তু এটাও অনস্বীকার্য, সচিনের ওই শতরানই ছিল ১০০তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মত এভারেস্টে তৈরির 'সফল বীজ বপন'।