ওয়েব ডেস্ক: অজ গাঁয়ে সচিনের সাহায্য। স্কুলঘর তৈরিতে ৭৬ লক্ষ টাকা দিলেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। মাস্টার ব্লাস্টারকে চিঠি লিখে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। উচ্ছ্বসিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোর্ডের লেখা পড়ে চোখ কপালে তোলার দরকার নেই। কারণ, তিনি মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর পারফরমেন্সের গ্রাফটা এমনই ঊর্ধ্বমুখী। গোবিন্দপুর-মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষানিকেতনের নতুন ভবনটি তৈরি হচ্ছে রাজ্যসভার সাংসদ সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের সাংসদ-তহবিলের টাকায়। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মোহান্তি।


১৯৬৫ সালে তৈরি পুরনো স্কুলবাড়ির তখন ঝরঝরে দশা। ভাঙা ছাদ দিয়ে জল পড়ে। যথেষ্ট ক্লাসঘর নেই। স্কুলের হাল ফেরাতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরতে থাকেন মাস্টারমশাই। নারায়ণগড়ের তত্কালীন বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্রর কাছে পৌছতেই পারেননি। সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডার সাহায্য চেয়েও মেলেনি।


হতাশ হলেও হাল ছাড়েননি। নেট ঘেঁটে জানতে পারেন সাংসদ সচিন দেশের যে কোনও জায়গায় টাকা দিতে পারেন। ঠিকানা জোগাড় করে আবেদন করে ফেলেন উত্তম মোহান্তি। ২০১৪-র ৭ই আগস্ট অবশেষে এসে পৌছয় সচিনের চিঠি। চিঠিতে লেখা, স্কুলকে ৭৬ লক্ষ টাকা দেবেন সচিন। সেই টাকাতেই তৈরি হচ্ছে গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার এবং মেয়েদের কমনরুম। স্বপ্নকে যিনি সত্যি করেছেন, সেই উত্তম মোহান্তির এখন একটাই ইচ্ছে, সচিনের মুখোমুখি হওয়া।