Sakshi Malik, CWG 2022: কামব্যাক করে ইতিহাস গড়লেন `সোনার মেয়ে` সাক্ষী
চোট-আঘাতে দীর্ঘদিন জর্জরিত ছিলেন। সাক্ষী মালিকের কাছে এবারের কমনওয়েলথ গেমস ছিল প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ। যে মঞ্চে জ্বলে উঠলেন সাক্ষী। প্রথম রাউন্ডে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। তারপরেও হারিয়ে দিলেন কানাডার গডিনেজ গঞ্জালেসকে। জিতে নিলেন সোনা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বজরং পুনিয়া পর এ বার সাক্ষী মালিক। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কুস্তির হাত ধরে ভারতের হাত ধরে চলে এল দ্বিতীয় সোনা। ৬২ কেজি বিভাগে সোনা জিতলেন সাক্ষী।
চোট-আঘাতে দীর্ঘদিন জর্জরিত ছিলেন। সাক্ষী মালিকের কাছে এ বারের কমনওয়েলথ গেমস ছিল প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ। যে মঞ্চে জ্বলে উঠলেন সাক্ষী। প্রথম রাউন্ডে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। তারপরেও হারিয়ে দিলেন কানাডার গডিনেজ গঞ্জালেসকে। জিতে নিলেন সোনা।
গোল্ড মেডেল বাউটের শুরুতে আক্রমণ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন সাক্ষী। প্রতি আক্রমণে সাক্ষীকে টেক ডাউন করে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন অ্যানা। প্রথম রাউন্ডেই একই ভুলের পুনারাবৃত্তি করেন সাক্ষী। ফলে ফের তাঁকে ২ পয়েন্ট খোয়াতে হয়। প্রথম রাউন্ডে সাক্ষী ০-৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: Bajrang Punia, CWG 2022 : গোল্ডকোস্টের পর ফের একবার সোনা জিতলেন 'বজরঙ্গি ভাইজান'
আরও পড়ুন: East Bengal : বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে লাল-হলুদের তরফে কারা?
দ্বিতীয় রাউন্ডে সাক্ষী এক ঝটকায় ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন নেন এবং কানাডিয়ান তারকাকে চিৎ করে (৪-৪) ফাইনাল বাউট জিতে নেন। সেই সঙ্গে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে ভারতকে সার্বিকভাবে আট নম্বর সোনা এনে দিলেন সাক্ষী।
এই প্রথম কমনওয়েলথ গেমসের গোল্ড মেডেল গলায় ঝোলালেন সাক্ষী মালিক। এর আগে ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গমসের ৫৮ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছিলেন সাক্ষী। পরে ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টের ৬২ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। এ বার পদকের রং বদলে নেন রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক।
এর আগে ফ্রি-স্টাইল কুস্তিতে মেয়েদের ৫৭ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন অংশু। ফাইনালে ভারতীয় তারকা ৩-৭ ব্যবধানে হেরে যান নাইজেরিয়ার ওডুনায়ো আদেকুরয়ির কাছে। পরে ছেলেদের ৬৫ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন বজরং পুনিয়া। ফাইনালে বজরং ৯-২ ব্যবধানে হারিয়ে দেন কানাডার লাচলান ম্যাকনেইলকে।
কোন পথে এল সাক্ষীর সোনার পদক:-
কোয়ার্টার ফাইনাল: মেয়েদের ৬২ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের কেলসি বার্নসের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেন সাক্ষী মালিক। কার্যত ১ মিনিটেই কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই জিতে নেন সাক্ষী এবং সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন। ১০-০-র ব্যবধান তৈরি করে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটির নিরিখে বাজিমাত করেন ভারতীয় তারকা।
সোমিফাইনাল: সাক্ষী মালিক ৬২ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে ১০-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার নেথমি পরুথোটেগকে এবং ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন।
ফাইনাল: গোল্ড মেডেল বাউটে সাক্ষী কানাডার অ্যানা গডিনেজ গঞ্জালেজকে চিৎ করে (৪-৪) চ্যাম্পিয়ন হন।